🇨🇭 হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এইসব বিপদ ঘটার আগেই ইউরিক অ্যাসিডকে কন্ট্রোলে আনতে হবে।
🇨🇭 নইলে আর্থ্রাইটিস থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখ শরীরে সিঁধ কাটবে। তবে এই রোগকে বশে রাখার জন্য বেশি কসরত করার প্রয়োজন নেই। কারণ কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধের গুণেই আপনি এই রোগকে সহজেই কন্ট্রোলে আনতে পারবেন।
🇨🇭 হাই ইউরিক অ্যাসিড একটি জটিল অসুখ। এই রোগকে ঠিক সময়ে বশে না আনলে গাউট আর্থ্রাইটিস, কিডনি স্টোন থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা যেন তেন প্রকারেণ ইউরিক অ্যাসিড কমানোর পরামর্শ দেন। আর ভালো খবর হল, এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ।
🇨🇭 তাই আর সময় নষ্ট না করে বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক থেকেই ইউরিক অ্যাসিডকে বশে রাখার কাজে হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। আশা করছি, পরামর্শ মেনে চললে অনায়াসে আপনি এই রোগকে কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন।
🇨🇭 রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে, যেমন:
- 🩸 জিনের কারসাজি।
- 🩸 পাঁঠার মাংস, মাছের ডিমের মতো পিউরিন যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
- 🩸 ওজন বেশি থাকা।
- 🩸 সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, হাইপারেটনশন এবং কিডনির অসুখে ভুক্তোভোগীদেরও এই রোগের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে দারুণ চিকিৎসা রয়েছে:
ইউরিক অ্যাসিডকে বশে আনার কাজে একাই একশো হোমিওপ্যাথি। এমনকী যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হাইপারইউরেসেমিয়ার খপ্পরে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁরাও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তাই ঝটপট সুস্থ হয়ে উঠতে চাইলে আজই একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া শুরু করে দিন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
🇨🇭 এইসব হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি ভীষণ কার্যকরী রোগের অ্যাকিউট পর্যায়ে এই ওষুধগুলি দারুণ কাজ করে:
- 🧪 Belladonna- 1M.
- 🧪 Colchicum Mother Tincture- Q.
- 🧪 Benzoic acid- 30 CH.
- 🧪 Ruta G- 30 CH.
- 🧪 Phytolacca Mother tincture- Q.
- 🧪 Bryonia alba- 200 CH.
- 🧪 Ledum pal 30 CH.
- 🧪 Urticaria Urens Mother tincture – Q.
🇨🇭 আর রোগটি ক্রনিক স্তরে চলে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এই ওষুধগুলি খেতে পারেন:
- 🧪 Pulsatilla- 200 CH.
- 🧪 Lycopodium- 200 CH.
- 🧪 Graphites- 200 CH.
- 🧪 Calcaria Carb- 200 CH.
- 🧪 Kali Carb 200 ইত্যাদি।
🇨🇭 চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা হয়। তাই এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে রোগীর প্রকৃতি নির্ণয় করা খুবই জরুরি। অর্থাৎ- রোগী কী খেতে ভালোবাসেন, তাঁর ঠান্ডা ভালো লাগে না গরম, কখন তাঁর সমস্যা বাড়ে- এইসব বিষয়গুলি জেনে নেওয়ার পরই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর জন্য সঠিক হোমিওপ্যাথি ওষুধ নির্বাচন করেন। তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। নইলে ওষুধ খেয়ে কোনও লাভই হবে না।
🇨🇭 এই রোগে আক্রান্তদের কিছু খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন:
- 🩸 কোল্ড ড্রিংকস।
- 🩸 ফ্রুট জুস।
- 🩸 মদ।
- 🩸 বিনস।
- 🩸 পাঁঠার মাংস।
- 🩸 মাংসের মেটে, ইত্যাদি।
🇨🇭 ইউরিক এসিড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য: Details Information Of Uric Acid.
🩸 ঘুম ভেঙ্গে অথবা দীর্ঘক্ষণ একভাবে থাকার পর অবস্থান পরিবর্তনের সময় লক্ষ্য করলেন, বিভিন্ন জয়েন্টে ভীষণ ব্যথা, পা ফেলতে কষ্ট হচ্ছে। এমন সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়।
🩸 রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে 3.0 -7.0 মি.গ্রা./ ডি.এল এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে 2.4 – 5.7 মি.গ্রা./ডি.এল।
🩸 রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে তাকে হাইপার ইউরেসিমিয়া বলে। ইউরিক এসিডের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমাদের দেহে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়, বাকিটা আসে আমাদের খাদ্য থেকে, বিশেষ করে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার থেকে। কেননা, পিউরিন ভেঙে ইউরিক এসিড তৈরি হয়।
🩸 আমাদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে ইউরিক এসিড থাকে। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে যখন কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড শরীর থেকে বের করে দিতে পারে না কিংবা দেহ অতিরিক্ত ইউরিক এসিড তৈরি করতে শুরু করে। তখন এই অতিরিক্ত ইউরিক এসিড ক্রিস্টাল আকারে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে জমতে থাকে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা, ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া এবং যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন।
🩸 অনেকের ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে মেডিসিন গ্রহণ করার পরও ব্যথা বা যন্ত্রণার তীব্রতা কমে না। এর কারণ হল, ইউরিক এসিড কমানোর জন্য মেডিসিনের পাশাপাশি সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা হয় না।
🩸 যেসব খাবার খেলে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অর্থাৎ- পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং যেসব খাবার অতিরিক্ত ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে সেসব খাবার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে আপনার ওজন।
তবে শুরুতে জেনে নিন ইউরিক এসিড কমাতে যে খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন।
আরো পড়ুনঃ রক্তে ইউরিক এসিড | Uric Acid In Blood
🇨🇭 যে খাবারগুলো বাদ দেবেন:
❌ রেড মিট:
গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস। যেসব- খাবার খেলে ইউরিক এসিড বেড়ে যায় রেড মিট বা লাল মাংস তাদের অন্যতম।
❌ এছাড়া সাদা মাংস, যেমন: মুরগীর মাংসেও ইউরিক এসিড বেশি থাকে তবে লাল মাংসের তুলনায় কিছুটা কম। তাই যাদের ইউরিক এসিড বেশি তারা লাল মাংস একদম পরিহার করুন এবং সাদা মাংস পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
❌ অর্গান মিট:
মগজ, কলিজা, জিহবা, কিডনি। লাল এবং সাদা মাংসের মতো অর্গান মিটে ইউরিক এসিদের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই এগুলো আপনার যতই প্রিয় হোক না কেন আপনার দেহের ইউরিক এসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এই খাবারগুলো।
❌ পাখির মাংস:
হাঁস, কবুতর, কোয়েল পাখি বা অন্য যেকোনো পাখির মাংস। যদি ইউরিক এসিড কমাতে চান তবে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এসব উচ্চ পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার।
❌ পিচ্ছিল সব্জি:
ঢ্যাঁড়স, কচুর লতি, কচুর মুখী, পুঁইশাক প্রভৃতি সব্জি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও ইউরিক এসিডের লেভেল ঠিক রাখতে এই সব্জিগুলো বাদ দিতে হবে।
❌ এছাড়া ফুলকপি, মাশরুম, পালংশাক, শিম, মটরশুঁটি, বেগুন খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অথবা খুবই সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে, যতদিন না পর্যন্ত ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক না হয়।
❌ ইস্ট দিয়ে তৈরি খাবার এবং ইস্ট সাপ্লিমেন্ট
যেসব খাবার তৈরিতে ইস্ট ব্যবহার করা হয় যেমন- পাউরুটি, নান, বিয়ার প্রভৃতি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অবশ্যই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। সব ধরনের ডাল এবং ডালের তৈরি খাবার পিয়াজু, বেগুনি, ফুচকা, চটপটি, খিচুরি- এসব খাবার মুখরোচক হলেও ইউরিক এসিড কমাতে হলে লাগাম দিতে হবে এসব খাবারে।
❌ বাদাম, বীচি জাতীয় খাবার
শিমের বীচি, কাঁঠালের বীচি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম বাদ দিন যদি ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে চান।
❌ সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, মাছের ডিম, যেকোনো ধরনের মাছ, সেটা সামুদ্রিক মাছ হোক আর মিঠা পানির মাছ হোক- এতে পিউরিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই এই সামুদ্রিক মাছ, শামুক, ঝিনুক, চিংড়ি, কাঁকড়া, মাছের ডিম- এসব খাবার ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে বাদ দেয়া উচিত।
❌ সুগারি ফুড এবং বেভারেজ
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- কেক, মিষ্টি, ফলের রস, পেপসি, কোক প্রভৃতির কারণে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে বাদ দিন এই ধরনের খাবারগুলো।
❌ হাই ফ্রুক্টোজ বা অতিরিক্ত মিষ্টি ফল এবং খাবার
যেসব- ফলে বা খাবারে ফ্রুক্টোজ বেশি থাকে সেসব খাবার ইউরিক এসিড কমার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। তাই, ফলের মধ্যে খেজুর, আতাফল, বেদানা, কাঁঠাল, আঙুর, নাশপাতি, পীচ, আম, তাল, চেরী, কিউই ফল, আলুবোখারা পাশাপাশি মধু, গুড় এবং গুড়ের তৈরি খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
🇨🇭 যে খাবারে ইউরিক এসিড বেশি থাকে:
- 🩸 সামুদ্রিক মাছ, গরু ও খাসির মাংস, হাঁস বা ভেড়ার মাংস, কলিজা, মগজ, ফুসফুস,গুর্দা, মাশরুম, মুরগির চামড়া, চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি, ইলিশ মাছ, মাংসের স্যুপ, পায়া, মাছের কাঁটা, মাছের ডিম।
- 🩸 মসুর ডাল, মাষকলাই ডাল, মটর, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, তিল, সিমের বীচি।
- 🩸 পুঁই শাক, পালং শাক, মুলা শাক, পাট শাক।
- 🩸 মুলা, ঢ়েঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, বীচি জাতীয় খাবার, মিষ্টি আলু, ওলকপি, বিট, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সজনে, সিম, বরবটি, কাঁঠালের বীচি, সিমের বীচি, বেগুন।
- 🩸 সব ডাল, বাদাম ও বাদাম জাতীয় খাদ্য, লবণ যুক্ত খাদ্য, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও তেলে ভাজা খাবার, হাঁসের ডিম, কফি, আচার, ইস্ট বা ইস্টের তৈরি যে কোনো খাবার, পনির।
🇨🇭 ইউরিক এসিড কমাতে যা খাবেন:
✅ সঠিক পরিমাণে পানি:
বিশুদ্ধ পানি যেমন করে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়, একইভাবে সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড শরীর থেকে বের হয়ে যায়। সুতারং, প্রতিদিন অন্তত 10/12 গ্লাস পানি পান করুন।
✅ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখুন গোটা শস্য, শাকসবজি এবং ফলমূল, ওটস, ইসবগুলের ভুষি।
✅ ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমে।
✅ মূলত ডায়াটেরি ফাইবার ব্লাডস্ট্রিমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক এসিড দেহ থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
✅ ভিটামিন- সি:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন 500 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইউরিক এসিডের লেভেল কমে যায়। ভিটামিন সি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড ইউরিনের মাধ্যমে বের করে দেয়। সুতরাং, ইউরিক এসিড কমাতে লেবু, আমলকী, আমড়া, পেয়ারা, কমলা খান নিয়মিত।
✅ আনারস:
ইউরিক এসিড কমাতে আনারস খুবই কার্যকর একটি ফল। মানবদেহের জন্য প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি দরকার হয় এর 100%-ই ১ কাপ আনারস খেলে পূরণ হবে। অন্যান্য ফলের তুলনায় আনারসে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ অনেক কম। তাই বাড়তি চিন্তার কারণ নেই।
✅ এছাড়া আনারসে রয়েছে ব্রোলামিন নামক এনজাইম যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, যারা ইউরিক এসিড কমাতে চান তারা প্রতিদিন কিছুটা হলেও আনারস খান।
✅ লো ফ্যাট মিল্ক, টক দই এবং ডিম:
হাইপার ইউরেসেমিয়া কমাতে এবং সেই সঙ্গে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য বেছে নিন লো ফ্যাট মিল্ক, লো ফ্যাট দই এবং কুসুম ছাড়া ডিম।
✅ অলিভ অয়েল:
আপনার রান্নায় পরিমিত তেল ব্যবহার করুন। আর রান্নায় ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে রয়েছে প্রদাহবিরোধী উপাদান। যা অতিরিক্ত ইউরিক এসিডের কারণে সৃষ্ট জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
✅ আপেল:
আপেলে থাকা ম্যালিক এসিড ইউরিক এসিড নিউট্রালাইজড করতে সাহায্য করে। তবে আপেলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকায় খুব বড় সাইজের নয়, প্রতিদিন খাবার পর ছোট একটি আপেল রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায়।
✅ প্রোটিন- যেহেতু এ সব রোগীদের ক্ষেত্রে প্রোটিন জাতীয় খাবার বর্জন করার পরামর্শ দেয়া হয় তাই সারা দিনের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মিঠা পানির মাছ ও চামড়া ছাড়া মুরগী, ডিমের সাদা অংশ, টক দই, দুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
✅ শাক- লাল শাক, ডাটা শাক, সরিষা শাক, লাউ শাক।
✅ সবজি- কাঁকরোল, পেঁপে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, পটল, করলা ( অবশ্যই বীচি ছাড়া )।
✅ ফল– সবুজ আপেল, নাশপাতি, পাকা পেঁপে, বীচি ছাড়া পেয়ারা, বীচি ছাড়া পাকা বেল।
✅ অন্যান্য- চাল, আটা, ময়দা, সুজি, ভুট্টা, সেমাই, চিড়া, মুড়ি, কর্নফ্লেক্স, সাবুদানা, মুগ ডাল ( অল্প পরিমাণে )।
✅ সুতরাং, যারা ইউরিক এসিড কমাতে চান মেডিসিনের পাশাপাশি উপরের নির্দেশিকা মেনে চলুন এবং সুস্থ থাকুন সহজেই।
✅ সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি ‘থেরাপিউটিক ফুড’ ইউরিক এসিডকে কমিয়ে দিতে ভালো কাজ করে
🩸 01 গ্লাস লাউয়ের জুস, 01 চামচ মৌরির গুঁড়া, 2/3টি গোল মরিচের গুঁড়া ভালোভাবে মিক্স করে সকালবেলার নাশতার সময় খেতে পারেন। উপকারিতা- এতে ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ আছে, যা ডিটক্সিফিকেশন হিসেবে কাজ করে বডির ইউরিক এসিডকে কমিয়ে দেয়।
🩸 200 মিলি পানির সঙ্গে 02 চা চামচ মেথি রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে পানি ছেঁকে নিয়ে মেথিগুলো পেস্ট বানিয়ে সেই 200 মিলি পানির সঙ্গে জ্বাল করে ফুটাতে হবে। এই পানীয় সকালের নাশতা খাবার 10/15 মিনিট আগে খেতে হবে। উপকারিতা- আয়রন খুব বেশি থাকে এবং ব্যথা দূর করে।
🩸 01 চামচ মধুর সঙ্গে 01 চামচ কালো জিরার তেল মিক্সড করে 10/15 দিন খেতে পারেন। উপকারিতা- ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকারী।
🩸 দৈনিক কাঁচা রসুন খেতে পারেন 5/6 টি কোয়া। উপকারিতা- ব্যথা দূর করতে কার্যকারী।
🩸 সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমে গেলে 02 মাস পর আবার রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা পরীক্ষা করুন।
🩸 ইউরিক এসিডের মাত্রা স্বাভাবিক হলেও সহসাই আবার বাদকৃত খাবারগুলাকে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, ধীরে ধীরে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে স্বাভাবিক খাদ্য তালিকায় ফিরে যেতে হবে।
🩸 রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে অবশ্যই সঠিক ডায়েট ঠিক করে ফেলুন যা খুব সহজেই ব্যথামুক্ত এবং অতিশিগগির সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে।
🇨🇭 আশা করছি, এই কয়েকটি খাবারের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
🇨🇭 রক্ত পরীক্ষার আগেই কী ভাবে বুঝবেন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়েছে কি না?
🩸 অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, ডায়েটে প্রক্রিয়াজাত খাবারের আধিক্যের কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তের এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ এই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাবৃদ্ধি। মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। খাওয়াদাওয়ায় একটু রাশ টানলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনও ধারণা নেই। রক্ত পরীক্ষা করানোর আগেই কী ভাবে বুঝবেন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না?
🧪 রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। কারণ, কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে। তবে প্রস্রাবের আধিক্য ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে হতে পারে রক্তপাতও। এ ছাড়া, হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময়ে অনেকেরই জ্বালা করে। এই লক্ষণ দেখেও সতর্ক হওয়া জরুরি।
🧪 শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পিঠের নীচের দিকে, তলপেটে কিংবা কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে। তাই এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হোন।
🧪 রাতে ঘুমোনোর সময় যদি পায়ের পাতায় তীব্র যন্ত্রণা হয়, হালকা জ্বালাভাব অনুভূত হয়, তাহলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এই যন্ত্রণার কারণে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।
🧪 এ ছাড়া ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, সারা ক্ষণ ক্লান্তি ভাব, বমি বমি ভাব, বার বার ঢেকুর তোলা, পেশিতে ঘন ঘন ক্র্যাম্প ধরাও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির উপসর্গ হতে পারে।
🇨🇭 ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কি খাবেন, কি খাবেন না?
✅ নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই রক্তে নির্দিষ্ট পরিমাণে ইউরিক এসিডের উপস্থিতি থাকে। যেমন স্বাভাবিক অবস্থায় নারীদের রক্তে এর পরিমাণ হলো 2.4 থেকে 6.0 মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে 3.4 থেকে 7.0 মিলিগ্রাম পার ডিএল।
✅ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গেঁটে বাত বা গিরায় ব্যথা, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি অকেজো হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় আর কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যেগুলি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ওষুধের মতো কাজ করে।
✅ কলিজা, মগজ, ফুসফুস, কিডনি, ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা। অধিক চর্বিযুক্ত গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস বা মহিষের মাংস খাওয়া যাবে না। এসব মাংস যদি খেতে চান তাহলে একেবারে চর্বি ছাড়া মাংস অল্প করে খাবেন। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ এবং শক্ত খোসাযুক্ত প্রাণীজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
✅ সব রকমের ডাল, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি খাওয়া পরিহার করতে হবে। মধু, চিনির সিরাপ, চিনিযুক্ত পানীয়, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত পানীয় একেবারেই খাওয়া যাবেনা। পালং শাক, পুঁই শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
যেসব খাবার বেশি খাবেন:
✅ অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। সবুজ সবজি-শাক এবং ফলমূলে প্রচুর খাদ্য আঁশ থাকে, এই আঁশ ইউরিক অ্যাসিডকে শরীর থেকে মল আকারে বের করে দেয়। চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। এক্ষেত্রে মুরগির মাংস উত্তম। তবে চামড়া এবং পাখনা খাওয়া যাবে না কারণ এতে প্রচুর চর্বি থাকে। পরিমাণমতো মাছ এবং কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যাবে। ফ্যাট ছাড়া দুধ বা স্কিম মিল্কও খেতে পারবেন।
✅ বেশি বেশি টক ফল বা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। গ্রিন টি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে। তাই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।
✅ এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করবেন। পানি দেহের যেকোনো ধরনের বিষকে দূর করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পানি।
🇨🇭 কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে? তা কি জানেন?
🩸 সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ের আঙুলে ব্যথা বা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত বা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে থাকা যে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ, এ কথা অনেকেই জানেন। কারণ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন জীবনধারা-নির্ভর রোগের মধ্যে পড়ে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টম্যাটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকে। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হয় ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
🩸ভিটামিন সি:
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতি দিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।
🩸 ‘লো ফ্যাট’ দুধ:
খেতে ভাল লাগলেও ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধ এবং সেই দুধ দিয়ে বানানো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বদলে প্রতি দিন ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল, পনিরও।
🩸 ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড:
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। কিন্তু এই ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক একটি যৌগ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই সার্ডিন, ট্রাউট বা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছ না খেয়ে পমফ্রেট বা ইলিশের উপর ভরসা করতেই পারেন।
🩸 ফাইবারযুক্ত খাবার:
ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। কুমড়ো, ব্রকোলি, ওটস বা দানাশস্য— সবতেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।
🩸 উদ্ভিজ্জ প্রোটিন:
শরীর সুস্থ রাখতে প্রতি দিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। এ দিকে প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদই ভরসা। শাকসব্জি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন।
🩸 ফলের রসের মধ্যে সুক্রোজ আর ফ্রুকটোজ বেশি পরিমাণে থাকে। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা বাড়বেই। ফলের রসের মধ্যে সুগার বেশি পরিমাণে থাকে।
🇨🇭 ইউরিক অ্যাসিডে যে সব খাবার এড়িয়ে চলবেন!
🇨🇭 প্রায়ই শরীরে ফোলা ভাব, পা ব্যথা, জয়েন্টে ফোলাভাব, তীব্র ব্যথায় ভুগছেন? এসবই কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ। আজকাল ব্যথা নিয়ে সকলেই জর্জরিত। কোথায় ব্যথা নেই! পায়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা… ব্যথা নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। হাজারো ওষুধেও তা সারে না। গাঁটে ব্যথার ক্ষেত্রে কারণ হল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি। ইউরিক অ্যাসিড পরিমাণের তুলায় বেড়ে গেলে তখন সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই ব্যথা বাড়বে। ইউরিক অ্যাসিড আদতে শরীরের বর্জ্য পদার্থ। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়। কারণ পিউরিন ভেঙেই তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড।
🇨🇭 প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে ইউরিক অ্যাসিড। তা না হলে এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে জমতে থাকে। পরবর্তীতে তা কেলাসের আকার নেয়। এই ইউরিক অ্যাসিড রক্তে জমতে থাকলেই গাউটের সমস্যা বাড়ে। ইউরিক অ্যাসিড বেশি বাড়লে সেখান থেকে কিডনি স্টোনও হতে পারে। সব কিছুর জন্য ঘুরে ফিরে আমাদের খাবারই দায়ী থাকে। পুষ্টিকর খাবার হিসেবে আমরা যে সব খাবারকে জানি সেই সব খাবার বেশি পরিমাণে খেলে সমস্যা হবেই। আর এই সব খাবারের মধ্যে তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে:
🩸 ফলের রস: ফলের রসের মধ্যে সুক্রোজ আর ফ্রুকটোজ বেশি পরিমাণে থাকে। চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা বাড়বেই। ফলের রসের মধ্যে সুগার বেশি পরিমাণে থাকে। আর তাই জুস খেলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়বেই।
রুটি এবং ভাত এই উভয়ের মধ্যেই থাকে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট। আর তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ময়দা, চাল, চিনি, ব্রেড, কুকিজ, কেক এসব এড়িয়ে যেতে হবে। জয়েন্টের ব্যথা এড়াতে এই চাল, ব্রেড একেবারেই বাদ দিতে হবে। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পিউরিন বেশি পরিমাণে থাকে। সার্ডিন, টুনা এসব মাছ তাই এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।
মাংসের মেটে, কচকচি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে তাদের একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে একেবারেই নয়। কাঁকড়া, সামুদ্রিক চিংড়ি এসবও কিন্তু এড়িয়ে যেতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।