অতিরিক্ত কামরস বের হলে কি হয় এবং ধাতুক্ষয় রোগ কি?

অতিরিক্ত কামরস বের হলে কি হয় এবং ধাতুক্ষয় রোগ কি?

🇨🇭 কামভাব জাগলে স্বচ্ছ পানির মত যে তরল পদার্থ পুরুষাঙ্গ থেকে বের হয়, তাকে কামরস বলে। কাম রসের ইংরেজিতে নাম ডগ ওয়াটার।

🇨🇭 কাম রস ও পুরুষের বীর্য প্রায় একই রকমরে তরল পদার্থ শুধু এই দুটির ভিতর উপাদানগত কিছু রাসায়নিক পার্থ্যক্য রয়েছে। সব পুরুষের সমানভাবে কামরস নির্গত হয় না। কারো কারো মোটেও হয়না আবার কারো কারো সর্বোচ্চ 05 মি:লি এর মত নির্গত হয়।

🇨🇭 কামরস কি কাজ করে ?

🩸 শুক্রানুর জন্য অম্লতা ক্ষতিকর। প্রস্রাব করার পর কিছু পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ মুত্রনালীতে থাকে। শুক্রানকে নিরাপদে রাখতে কাম রস ঐ সকল রাসায়নিক পদার্থকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং শুক্রানুর চলন পথ স্বচ্ছ করে। তাছাড়া নারীদের যোনীপথে অম্লীয়ভাব থাকে। যোনীতে বীর্য স্থলণ করলে এসিডিক পরিবেশে শুক্রানুর ক্ষতি করে। কিন্তু কম রস নারীর যোনী পথের এসিডিক ভাব দূর করে ফলে শুক্রানু নিরাপদ থাকে।নারীদের যোনীপথে সহজে লিঙ্গ সঞ্চালনের জন্য কামরস যোনীপথ পিচ্ছিল করে।

🇨🇭 অতিরিক্ত কামরস বের হলে সমস্যা সমুহ :

🩸 কাম রসের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। কারণ কাম রসের সাথে সামান্য পরিমাণে শুক্রানু বা পুরানো শুক্রানু বের হয়ে আসতে পারে। তাই সতর্ক থাকবেন যে, কাম রস যোনীতে প্রবেশ করলে ও গর্ভধারণ হতে পারে। তাছাড়া কাম রসের মাধ্যমে এইডসসহ অন্যান রোগ ও হতে পারে।

অতিরিক্ত কামরস বের হলে কি হয় এবং ধাতুক্ষয় রোগ কি?

🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ কি? ধাতুক্ষয় রোগ কিভাবে হয় ?

🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ ইংরেজি- ( Dhat Syndrome ) হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষ রোগীগণ মনে করেন, তারা অকাল বীর্যপাত ও ধ্বজভঙ্গের সমস্যায় ভুগছেন, এবং একই সাথে বিশ্বাস করেন যে তাদের প্রসাবের সাথে বীর্য বের হচ্ছে। অর্থাৎ ধাতু রোগে পুরুষাঙ্গ দৃঢ় না হওয়া সত্যেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে বীর্যপাত হয় – কোনও যৌন কার্যকলাপ ব্যতীতই। এই অবস্থার জন্য এখন অবধি কোনো জৈবিক শারীরবৃত্তিক কারণকে দায়ী করা যায় নি, ধারণা করা হয় । সম্ভবত এ অবস্থাটি একটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। Dhat Syndrome বা ধাতু সিন্ড্রোম বা ধাতু রোগ, এই সেই রোগ যেটা বাঙ্গালি পুরুষদের কমন রোগ । এটা এমনই এক সিন্ড্রোম যার সঙ্গাই এমন, শুধুমাত্র ভারতীয়কোন শারীরিক অসুস্থতা না থাকা স্বত্তেও এই সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয় এবং তারা এবং দূর্বলতা- শারীরিক+যৌন এই দুটি প্রধান উপসর্গ বহন করে।

🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ এর কিছু সমস্যা:

🩸 যেমন: বুকধড় ফড়, দুশ্চিন্তা, মেধা কমে যাওয়া, কম ঘুম ইত্যাদি থাকে।

🇨🇭 এই ধাতুক্ষয় রোগ কিভাবে দেখা দেয়?

🩸 পুরুষের প্রসাব নালির একটা অংশ আছে যার নাম মেমব্রেনাস ইউরেথ্রা ঠিক তার দুপাশে চিনা বাদামের মতো দেখতে গ্লান্ড বা গ্রন্থি থাকে – বাল্বোইউরেথ্রাল গ্লান্ড অব কাউপার, মূলত সেখান থেকে সর্দির মতো একটু পদার্থ বের হয়ে আসে যেটাকে মিউকাস বলে, এটা পাতলা পিচ্ছিল জাতীয় পর্দাথ যা যৌন উত্তেজনায় বেরিয়ে আসে যেটা মিলনকে সহজ করে এবং প্রসাব নালিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সহায়তা করে। যখন শরীরে বা মস্তিষ্কে যৌন উত্তেজনা তৈরি হয় তখন লিঙ্গের কাউপার গ্লান্ডের চারপাশের পেশিগুলো সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে একধরনের চাপ সৃষ্টি করে ফলে এটা নিসৃত হয় আর এটা অনিচ্ছাকৃত হয়ে থাকে। এই নি:সরণ যাদের অতিরিক্ত হয় তারা অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে যেটা সাইকোসেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারে নিয়ে যায় পরবর্তীতে ধাতু রোগ – Dhat Syndrome , এ রুপান্তরিত করে।

আরো পড়ুনঃ  মাত্রাতিরিক্ত কামাসক্তি এর হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 কোথায় ধাতুক্ষয় রোগ এর প্রাদুর্ভাব বেশি?

🩸 উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত,পাকিস্তান, নেপাল,শ্রীলংকায় এই রোগ সবচেয়ে বেশি।

🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ লক্ষন:

  • 🩸 প্রস্রাবের সাথে পানির মত ধাতু ক্ষয়।
  • 🩸 প্রচন্ড দূর্বল লাগা।
  • 🩸 বুক ধড়ফড় করা।
  • 🩸 অলসতা ও ঘুমঘুম ভাব।
  • 🩸 শরীর অবসাদ।
  • 🩸 মনোযোগ না থাকা।
  • 🩸 স্মরণ শক্তি কমে যাওয়া।
  • 🩸 মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
  • 🩸 কাজ কর্মে ইতস্তত হওয়া।
  • 🩸 উপস্থিত বুদ্ধি কমে যাওয়া।
  • 🩸 অতিরিক্ত ঘুম।
  • 🩸 সামান্য বিষয়ে বেশি মনখারাপ হওয়া।
  • 🩸 দুশ্চিন্তা।
  • 🩸 ডিপ্রেশন ইত্যাদি।

🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ এর কারন:

  • 🩸 ধাতু রোগ সাধারণত অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারনে শুরু হয় তবে সবার বেলায় নাও হতে পারে।
  • 🩸 প্রসাবের রাস্তায় ইনফেকশন।
  • 🩸 মাত্রারিতিক্ত অশ্লীল চিন্তা বা ছবি দেখা।
  • 🩸 সব সময় যৌন চিন্তা।
  • 🩸 অল্প বয়সেই যৌন অভিজ্ঞতা।
  • 🩸 সিফিলিস, গনোরিয়া।
  • 🩸 মাত্রারিক্ত স্বপ্ন দোষ।
  • 🩸 নার্ভের অতিসংবেদবশীলতা।
  • 🩸 কনস্টিপেশন।
  • 🩸 প্রোটিন খাবারের অভাবে।
  • 🩸 আঁটসাঁট আন্ডার ওয়ার পরা।
  • 🩸 সব সময় যৌন চিন্তা।
  • 🩸 সেক্স হরমোন লেবেলের হেরফের।
  • 🩸 মস্তিষ্কের সেরোটোনিন লেবেল কম হওয়া ইত্যাদি।
🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ এর পরীক্ষা নিরীক্ষা:

🧪 সিবিসি,ব্লাড সুগার ও সেক্স হরমোন লেবেল দেখা।

🇨🇭 ধাতুক্ষয় রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি?

🩸 ধাতুক্ষয় রোগ প্রতিরোধের কোন সঠিক উপায় , আপনার শুক্রাণুর কার্যকারিতা এবং মান উন্নত করতে পারেন এবং বীর্যপাতের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে পারেন।

🇨🇭 কামরস কমবেশি সবারই বের হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বের হলে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন -শরীর দূর্বল হয়ে যাওয়া,যৌন দূর্বলতা দেখা দেওয়া, শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে অতিরিক্ত কামরস নি:সৃত হওয়ার কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। অতিরিক্ত কামরস নি:সৃত হওয়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে যৌন দূর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!