
২২ বছর বয়স্ক রুগী এই নিম্নোক্ত রোগের কারণে সৌদী থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হন। প্রচন্ড চুলকানি, হাঁটু ব্যাথা, গরমে বৃদ্ধি, রুগী প্রচুর অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করেছেন, চুলকালে কষ বের হয়।
১৫ সেপ্টম্বর১৮ থেকে Ars Iod, Baccilinum, Urt Uren প্রভৃতি ,হোমিও ঔষধ ব্যবহারের পর আলহামদুলিল্লাহ রোগটি প্রশমিত হওয়ার পথে।
চর্ম রোগের প্রকৃত চিকিৎসা/নির্মূল করতে হলে হোমিও চিকিৎসার বিকল্প নাই। তবে রোগের প্রারম্ভিক অবস্থায় আরোগ্য ত্বরান্বিত হয়।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
হোমিওপ্যাথিতে চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন শর্টকাট রাস্তা নাই। রোগের নাম নয় বরং রোগের লক্ষণ এবং রোগের কারণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই আরোগ্যের আশা করতে পারেন। হ্যাঁ, যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে-কোন চর্মরোগ নিরাময় করা সম্ভব যদি সেই ঔষধের সাথে রোগটির লক্ষণ মিলে যায়। তারপরও নীচে কয়েকটি হোমিও ঔষধের ব্যবহার বর্ণনা করা হলো। Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
Thuja occidentalis : একটু মারাত্মক ভয়ঙ্কর ধরনের অধিকাংশ চর্মরোগের একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে কোন চর্মরোগ দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি উচ্চ শক্তিতে এক মাত্রা খেয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Arsenicum album : যে-কোন চর্মরোগের সাথে যদি অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া, পেটের অসুখ, রাতের বেলা বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে।
Kali sulphuricum : ক্যালি সালফ খুসকির মতো চামড়া ওঠা জাতীয় রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ক্যালি সালফের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হলো হলুদ রঙ। যদি পূজেঁর রঙ, প্রস্রাবের রঙ অথবা কফের রঙ হলুদ হয়, তবে যে-কোন রোগে ক্যালি সালফ প্রয়োগে ভাল ফল পাবেন।
Sepia : তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়, রোগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে সিপিয়া খেতে পারেন।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
Sulphur : চর্মরোগের একটি সেরা ঔষধ হলো সালফার যদি তাতে অত্যধিক চুলকানী এবং জ্বালাপোড়া থাকে। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিত। যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয়, তাদেরকে প্রথমে অবশ্যই দুয়েক মাত্রা সালফার খাওয়াতেই হবে এবং সালফার তার ভেতর থেকে সকল চর্মরোগ বের করে আনবে। পক্ষান্তরে যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয় এবং শীতকাতর তাদেরকে প্রথমে খাওয়াতে হবে সোরিনাম (Psorinum)। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, রোগ বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায়, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment

Mezereum : মেজেরিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথার থেকে মোটা মোটা চামড়ার মতো চলটা উঠতে থাকে, এগুলোর নীচে আবার পূঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, পূঁজ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।
Graphites : গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার চর্মরোগ সারিয়ে দেবে।
Hepar sulph : হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এরা সাংঘাতিক সেনসেটিভ (over-sensitiveness), এতই সেনসেটিভ যে রোগাক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শও সহ্য করতে পারে না, এমনকি কাপড়ের স্পর্শও না। কেবল মানুষের বা কাপড়ের স্পর্শ নয়, এমনকি ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শও সহ্য করতে পারে না। সাথে সাথে শব্দ (গোলমাল) এবং গন্ধও সহ্য করতে পারে না। হিপারের শুধু শরীরই সেনসেটিভ নয়, সাথে সাথে মনও সেনসেটিভ। অর্থাৎ মেজাজ খুবই খিটখিটে। কাটা-ছেড়া-পোড়া ইত্যাদি ঘা/ক্ষত শুকাতে হিপার বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে মনে রাখতে হবে যে, হিপারের পূঁজ হয় পাতলা। যেখানে আঠালো পূঁজ বা কষ বের হয়, সেখানে হিপারের বদলে ক্যালি বাইক্রোম (Kali bichromicum) ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত ফোড়া পাকাতে নিম্নশক্তি এবং ফোড়া সারাতে উচ্চশক্তি ব্যবহার করতে হয়।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
Natrum muriaticum : মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন, মানসিক আঘাত পাওয়ার পর কোন চর্মরোগ হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর খেতে পারেন।
Croton Tiglium : ক্রোটন টিগ চর্মরোগের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো চর্মরোগে প্রচুর চুলকানি থাকে কিন্তু জোরে চুলকানো রোগী সহ্য করতে পারে না। কেননা তাতে আরাম না বরং সাংঘাতিক ব্যথা পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে হালকা ভাবে চুলকালে অথবা মালিশ করলে রোগী আরাম পায়।
Rhus toxicodendron : রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়, স্বপ্ন দেখে যেন খুব পরিশ্রমের কাজ করতেছে। পাশের চিত্রের ন্যায় লালচে এবং ফোষ্কা জাতীয় চর্মরোগের জন্য রাসটক্স এক নাম্বার ঔষধ।

Arnica montana : যে-কোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো, ঘুষি, লাঠির আঘাত বা উপর থেকে পড়ার কারণে কোন চর্মরোগ হলে আর্নিকা খেতে হবে। আক্রান্ত স্থানে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, রোগী কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে)। উপরের লক্ষণগুলোর কোনটি থাকলে যে-কোন রোগে আর্নিকা প্রয়োগ করতে পারেন।
Mercurius solubilis : মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়, রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল ইত্যাদি। ঘামের কারণে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যে-কোন রোগে মার্ক সল প্রয়োগ করতে পারেন। মার্ক সল যেহেতু এন্টি-সিফিলিটিক ঔষধ তাই সিফিলিস রোগী বা তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের যে-কোন রোগে এটি ভাল কাজ করে।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
Cantharis : জ্বালা-পোড়া এবং ছিড়ে ফেলার মতো ব্যথা হলো ক্যান্থারিসের প্রধান লক্ষণ। ভীষণ জ্বালাপোড়া থাকলে যে-কোন চর্মরোগে ক্যান্থারিস ব্যবহার করতে পারেন। এটি জলাতঙ্ক রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এটি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ভীষণভাবে। কোন জায়গা পুড়ে গেলে একই সাথে খাওয়ান এবং পানির সাথে মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগান।
চর্মরোগ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
Dr. Masud Hossain 01907-583252, 01302-743871
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
চর্মরোগ এমন একটি সাধারণ ও প্রচলিত ব্যাধি যা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । যেমন কুষ্ঠ,খোস,ছত্রাক ব্যাধি এবং চর্মজীবাণু প্রদাহ । ভেতর ও বাইরের উপাদানের প্রভাবে প্রভাবিত হওয়ার পর মানুষের চর্মের আকার,গঠনপ্রণালী এবং ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে। কোনো কোনোটার রোগবিদ্যাগত প্রক্রিয়ায় নানা লক্ষণ দেখা দেয়।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
চর্মরোগঃ-চর্মরোগ বিভিন্ন ধরনের হয় যেমনঃ
- চুলকানী।
- ফুসকুড়ি।
- দাদ।
- একজিমা।
- এলার্জী।
- লোমফোড়া।
- ঘা।
- আমবাত ইত্যাদি।
এক্সিমাসহ বেশ কয়েকটি চর্মরোগের কারণ খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত । সুতরাং চর্মরোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের চিংড়ি, কাকড়া, খাশির মাংস , মুর্গি , হাঁস এবং মরিচ , আদা , রসুন,রসুনের পাতা ও মদ সহ উত্তেজক খাবার অথবা তেলে ভাজা ও হজম করা কঠিন এমন খাবার নিয়ন্ত্রণ করা দরকার । তাছাড়া বেশ কয়েকটি চর্মরোগ মানসিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত । তাই চর্মরোগীদের সবসময় আনন্দদায়ক মানসিকতা বজায় রাখা উচিত । আক্রান্ত হলে রোগটি মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে ডাক্তারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে এবং ইতিবাচক আস্থা গড়ে তুলতে হবে।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
হোমিওপ্যথিক ঔষধ ও চিকিৎসাঃ
চর্মরোগে সাধারনত যে হোমিওপ্যাথিক ওষধ গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হলঃ-
- Graphites
- Arsenic Alb
- Psorinum
- Hepar Sulph
- Rhustox
- Nat Sulph
- Acid Nit
- Petrolium
- Mezerium
- Dulcamara
- Thuja
- Dolichos
- Bacillinum
- Silicea
- Kali Brom
- Graphites
গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার খুসকি সারিয়ে দেবে। গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।(মাসিক বন্ধ থাকা, ঋতুস্রাব না হওয়া) যে-সব মহিলা দিন দিন কেবল মোটা হতে থাকে, যাদের মাসিকের রক্তক্ষরণের পরিমাণ খুবই অল্প, যাদের সারা বছর কোষ্টকাঠিন্য লেগে থাকে, তাদের বেলায় গ্রেফাইটিস প্রযোজ্য।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment

Arsenicum album:
আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া ভাব, খুঁতখুঁতে স্বভাব, কাজে কর্মে একবারে নিখুঁত (perfectionistic), মৃত্যুকে ভয় পায় আবার আত্মহত্যা করতেও চায়, রাত ১টা থেকে ২টা পযর্ন্ত বিষন্নতা বেড়ে যায়, অজানা অমঙ্গলের ভয়, মনে হয় মানুষ খুন করেছে এমন টেনশান করতে থাকে, মনে হয় এখনই পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।মাথার চামড়া শুকনা, খস্খসে, স্পর্শ করলে ব্যথা লাগে, বেশ গরম, রাতের বেলা ভীষণ চুলকায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে।পচাঁ, বাসি কিংবা বিষাক্ত কোন খাবার-পানীয় খাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে আর্সেনিক এক নাম্বার ঔষধ। কাচাঁ কোন ফল খেয়ে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে হবে। পেটের ভেতরের কোন ক্যান্সারের কারণে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে পারেন।
শরীরের অনেক গভীর পযর্ন্ত যদি পুড়ে যায়, তবে আর্সেনিক খাওয়াতে হবে। পোড়া জায়গাটি ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়, যাতে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে বুঝা যায়। আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং তাতে ছুড়ি মারার মতো ব্যথা হয়। রোগী ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ে, এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। সে মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই, তার মৃত্যু হবে এখনই।আর্সেনিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ তাদের জন্য যারা কোন কিছু এলোমেলো দেখলে রেগে যান, ছোট-খাটো ব্যাপারেও ভীষণ সিরিয়াস, খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বভাবের, সবকিছু নিজের কন্ট্রোলে রাখতে বদ্ধপরিকর। এরা দুশ্চিন্তায় খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু তারপরও অস্থিরতার কারণে এক স্থানে বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারে না। মুখের ঘায়ের রঙ যদি নীলচে রঙের হয় এবং তাতে জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে, তবে আর্সেনিক তার উপযুক্ত ঔষধ।গ্যাংগ্রিনে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ হলো আর্সেনিক। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ছুরি মারার মতো ভয়ঙ্কর ব্যথা, আক্রান্ত স্থান কালচে রঙ ধারণ করে, ভীষণ জ্বালাপোড়া ভাব, অস্থিরতা, ওজন কমে যাওয়া, ভীষণ দুর্বলতা ইত্যাদি। ব্যথা সাধারণত মধ্যরাতে বৃদ্ধি পায় এবং গরম শেক দিলে কমে যায়। রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। সাধারণত উচ্চ শক্তিতে খাওয়া উচিত এবং বিনা প্রয়োজনে ঘনঘন খাওয়া উচিত নয়।অতীব মৃত্যুভয়, আমার রোগ কখনও ভালো হবে না, মৃত্যু নিশ্চিত ইত্যাদি লক্ষণে আর্সেনিক (৩০,২০০) আপনাকে আরোগ্য করবে।
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
Hepar sulphur:
Hepar Sulphuris Calcareum- ক্যালসিয়ম সালফাইড ও গন্ধক হতে প্রস্তুত। রাসায়নিক চিহ্ন : Ca S : Calcium sulfide
হিপার সালফার হলো ফোড়া সবচেয়ে বিখ্যাত হোমিও ঔষধ। যে-সব ফোড়ায় সাংঘাতিক ব্যথা থাকে; ব্যথার কারণে স্পর্শ করা যায় না, তাতে হিপার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ফোড়া পাকাতে চাইলে নিম্নশক্তিতে (৩,৬) আর ফোড়া না পাকিয়ে সারাতে চাইলে উচ্চশক্তিতে -২০০।
নোটঃ এভাবে বাকি ঔষধগুলো স্ট্যাডি করলে চর্মরোগের সঠিক হোমিওপ্যাথিকক চিকিৎসা করা যায়।হোমিওপ্যাথিক টিপস এ বাকি ঔষধগুলোর আলাদা আলাদাভাবে বর্ননা দেওয়া আছে।আর এই পর্যন্তই, সবাই ভাল থাকবেন।
ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )(ডি, এইচ, এম, এস)
সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।
এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন
Psoriasis and Skin Disease Homeo Treatment
Dr . Masud Hossain
ডাঃ মাসুদ হোসেন : 01907-583252 , 01302-743871
https://youtube.com/channel/UCcU8G3noKWYAs1rlJG3JXdA
https://www.facebook.com/groups/homeopathydoctormasud/?ref=share
https://www.facebook.com/Homoeopathic-Doctor-BD-new-104188911800693/
অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন