🇨🇭 যৌন উত্তেজনাহীনতা বা সল্পতা হেতু রতি শক্তির অভাবকেই ধ্বজভঙ্গ (Impotence) বলা হয়ে থাকে।
🇨🇭 ইহাতে পুরুষদের রতি ক্রিয়ার আংশিক বা সম্পূর্ণ সামর্থহীনতার ভাব প্রকাশ পায় এবং এ সমস্যায় পুরুষের পৌরষত্ব ভাব ধীরে দিরে লোপ পায়।
🇨🇭যৌন উত্তেজনায় ধ্বজভঙ্গের কারণ সমূহ:
🩸আঘাত প্রাপ্তি, বহুমূত্র, সিফিলিস, গনোরিয়া, পুরাতন অন্ডকোষ প্রদাহ, দীর্ঘকাল যাবৎ অজীর্ণ রোগ, স্নায়বিক রোগ ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণটি দেখা দিতে পারে। ইহাতে সন্তান উত্পাদন শক্তি লোপ পায়। অনেক চিকিত্সা বিজ্ঞানী ইহাকে রোগ বলে অভিহিত করতে চান না। ইহা যে কোন কঠিন জাতীয় পুরাতন রোগের লক্ষণ বিশেষ বলে তারা মনে করেন। পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌনতার স্থায়ীত্ব কম বেশি হয় কারণ তার দেহের হরমোনের ক্রিয়ার কম বেশি অবস্থা ঘটে। যৌন উত্তেজনা ও যৌন স্থায়ীত্ব কম হাওয়াই ধ্বজভঙ্গের লক্ষণ নয়।
🇨🇭 অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তার যৌন ক্ষমতা ঠিকই আছে কিন্তু মানসিক কারণে বা হীনমন্যতার জন্য ধ্বজভঙ্গ ভাব প্রকাশ পায়। অনেকেই যৌবন কালে কম বেশি বীর্য ক্ষয় করে থাকে এবং নানা প্রকার কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করে বীর্য ক্ষয় করে তাদের মনে তাদের মনে অনেক সময় একটা ভুল ধারণার সৃষ্টি হয় যে তারা ধ্বজভঙ্গে আক্রান্ত, তার যৌন ক্ষমতা বোধ কম এমন একটা দুর্বলতা বিশেষ করে মানসিক দুর্বলতা তার মনে সৃষ্টি হয়। আবার কোন কোন সময় যৌন ক্ষমতা সামান্য কম হলে সে মনে করে তার যৌন ক্ষমতা নেই , ইহাও একটি ভুল ধারণা ।
🇨🇭 প্রকৃত ধ্বজভঙ্গ রোগ এবং জন্মগত ভাবে ধ্বজভঙ্গ রোগ এই দুই শ্রেণীতে ইহাকে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। মানসিক বা দৈহিক কারণে যদি এই রোগ হয় তবে তাকে প্রকৃত ধ্বজভঙ্গ বলা যায়। আবার যদি জন্মগত ভাবে হয় তখন তাকে ধ্বজভঙ্গ রোগ বলা যায়। মানসিক বা দৈহিক কারণে এই রোগ হলে তার ট্রিটমেন্ট করা যায় কিন্তু জন্মগত ভাবে হলে তার চিকিত্সা করে আরোগ্য করাটা বেশ কঠিন। এবার আসুন প্রকৃত এবং জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের ক্ষেত্রে কি কি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা দেখি :
🇨🇭 জন্মগত ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ:
🩸 যৌবন আগমনের সঙ্গে পুরুষোচিত গুনাবলীগুলি যথাযথ ভাবে বিকাশ লাভ করে না। মানুসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। সর্বদাই হীনমন্যতা ও দুর্বলতার ভাব প্রকাশ পায়।
🩸 যৌবনের গুনাবলী ঠিক যে সময় যৌবন ভাব প্রকাশ পাওয়া স্বাভাবিক সেটা দেখা যায় না এবং যৌনতার ভাব যথাযথ ভাবে বিকাশ লাভ করে না। দেহের নানা হরমোনের অভাবে এবং স্নায়ুবিক অক্ষমতার কারণ হিসাবে দেখা দেয়।
🩸 যৌবন আগমন হলেও যৌনইন্দ্রিয়ের কোনো যৌন উত্তেজনা থাকে না। পেনিস ঠিক মত শক্ত হয় না। কখনো কখনো অতি সামান্য দু’এক ফোটা বীর্যপাত হয়।
সর্বদাই এদের চরিত্রে নারী সুলভ ভাবভঙ্গি প্রকাশ পায়। অদ্ভুদ ধরনের হাবভাব প্রকাশ পায় যা সাধারনত কোন পুরুষের মধ্যে থাকে না।
🩸 এদের যৌন উত্তেজনা, পেনিসের উত্থান, বীর্যপাত প্রভৃতি কিছুই দেখা যায় না। আচার আচরণে বোকামি প্রকাশ পায়, মানুষের কাছে হস্যম্পদ হয়ে থাকে এবং অনেক সময় মানুষ তাদের নিয়ে উপহাস ও কৌতক করে থাকে।
🇨🇭 মানসিক বা দৈহিক ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ:
🩸 যতটা দৈহিক বীর্য ক্ষয় হয় ততটা খাদ্য ঠিক মত পায় না। উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিন প্রভৃতির অভাব, পেটের রোগ এবং অন্য কোন রোগে ভোগা।
🩸 হরমোন ক্রিয়ার কম বেশির জন্য, দীর্ঘকাল যাবৎ বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, অনেকের পেনিস ছোট হলে এর জন্য হিনমন্যতায় ভোগে।
🩸 অনেক সময় আদৌ রোগ নয়, শুধু মাত্র মানসিক কারণেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। তারা প্রকৃতপক্ষে যৌনতায় সুস্থ কিন্তু কৃত্রিমভাবে বীর্যক্ষয় করার কারণে ধ্বজভঙ্গের সন্দেহ করে এবং এই সন্দেহের জন্য নিজেকে ধ্বজভঙ্গ রোগী মনে করে থাকে।
🩸 অনেকের ক্ষেত্রে যৌন হরমোন বা অন্য কোন গ্রন্থির হরমোন সমান্য কিছু কম নিঃসরণের জন্য যৌন উত্তেজনা কিছুটা কম হতে পারে কিন্তু যথাযথ ট্রিটমেন্ট করলে হরমোনের এই গোলযোগ ঠিক হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে মানসিক দুর্বলতা অনেক সময় প্রকাশ পেয়ে থাকে।
🇨🇭 যৌন উত্তেজনা এর রোগ নির্ণয় :
স্ত্রী সহবাসের সময় পেনিসের উত্থান হয় না অথবা সামান্য মাত্র উত্থান হয়ে আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রুত বীর্যপাত অর্থাৎ বীর্য ধারণের সময় যতটা হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম। পেনিসে যৌন উত্তেজনা দেখা যায় না আর হলেও অনেক কম। বীর্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তরল হয়। বীর্যপাতের পর অস্বাভাবিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। বীর্য এতটা পাতলা যে দেখতে জলের মত।
🇨🇭 যৌন উত্তেজনা জটিল উপসর্গ :
🩸যৌন আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।
🩸দাম্পত্য সুখ শান্তি বিঘ্নিত হয়।
🩸সাংসারিক শান্তি নস্ট হয়।
🩸জৈব চাহিদা মেটাতে স্ত্রী পর পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
🩸স্ত্রী সর্বদাই মানসিক অশান্তিতে ভোগে এবং স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তির অভাব হয়।
🩸পুরুষের পুরুষোচিত গুনাবলীর বিকাশ হয় না।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুক্র কীট ঠিকমত না থাকার দরুন সন্তান সৃষ্টি বিঘ্নিত হয়।
🩸 মনে মনে কামভাব থাকলেও যৌন সুখ না হবার দরুন মানসিক অবসাদ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এই জাতীয় হতাশায় ভুগলে মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।
🇨🇭 যৌন রোগের লক্ষন:
🩸 লিঙ্গ উত্তেজিত হবার পরেই পানির মতো তরল পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া।
🩸 একটুতেই লিঙ্গ উত্তেজিত হওয়া দুই/এক মিনিট পরেই লিঙ্গ ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
🩸 প্রসাবের আগে বা পরে শরীর
ঝকিমারা বা প্রসাবের বেগ ধিরে
ধিরে হওয়া।
🩸 আটকা আটকা প্রসাব বা প্রসাবের শেষে মনে হয় আরও কিছু প্রসাব ভিতরে আছে এমন অবস্থা।
🩸 সকালের প্রসাব বোতলে ধরলে নিচে গামের মতো নারীকেলের মতো ঘন পদার্থ জমে থাকা।
🩸 মিলনে সময় খুবই সীমত পাওয়া।
🩸 যথেষ্ট ভিটামিন খাবার খেয়েও
বীর্য ঘন হতে না পারা।
🩸 সহবাসের পরে শরীর একেবারে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এবং ২য় বার যাওয়ার অনুভূতি হারিয়ে ফেলা।
🩸 অধিক মিলনে বা হস্থমৈথনে যৌন তৃপ্তি হারিয়ে ফেলা।
🩸 ফোটা ফোটা প্রসাব এবং প্রসাবের বেগ ধরে রাখতে না পারা।
🩸 অস্থায়ী ঔষধ সেবন না
করে মিলনে যেতে না পারা।
🩸 আগের তুলনায় লিঙ্গ অনেক ছোট লাগা ও গোড়ার দিকটা চিকন হওয়া।
🩸 অণ্ডকোষ সারাক্ষণ ঝুলে থাকা বা বীর্যের আঠা হারিয়ে যাওয়া।
🩸 প্রসাব পায়খানার শুরুতে বা শেষে ঘন ভাতের মারের মতো আঠা আঠা পদার্থ লিঙ্গ দিয়ে বেরিয়ে আসা।
🩸 সহবাসের সময় লিঙ্গ শক্ত হতে না পারা এবং লিঙ্গে চিমটি কাটলে না লাগা। এই রোগের সঠিক স্থায়ী চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑সকাল 09:00 — 10:00 টা।
🛑বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎️ 01302-743871(WhatsApp, IMO)
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]
Youtube : আমার ইউটিউব চ্যানেলে গুরে আসুন
Facebook Page: আমার ফেসবুক পেইজে গুরে আসুন
Facebook Group: আমার ফেসবুক গ্রুপে গুরে আসুন
Location: আমার চেম্বারের ঠিকানা দেখতে ক্লিক করুন