ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 কোষ হলো জীবনের গঠনগত ও কার্যগত মৌলিক একক। এককোষী কিংবা বহুকোষী যে প্রাণীই হোক না কেন সব জীবিত প্রাণী স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য কোষের ওপর নির্ভরশীল। এক একটি কোষ যেন একটি কম্পিউটার। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মানবদেহে 75 থেকে 100 ট্রিলিয়ন কোষ কম্পিউটার রয়েছে। আবার শরীরে যত কোষ আছে তার দশগুণ অণুজীব চামড়া, নাক-মুখ, গলা, বৃহদন্ত ইত্যাদিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যাদের ওজন সাকুল্যে সাড়ে সাত গ্রাম। কম্পিউটারের, যেমন- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রয়েছে, তেমনি কোষ নিজে হলো এর হার্ডওয়্যার এবং ভেতরে প্রতিনিয়ত যত ফিজিওলজিক্যাল কার্যকলাপ চলে তা এর সফটওয়্যার। শুধু কি তাই, প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতর যে ডিএনএ আছে, সেগুলো সবচেয়ে সফিস্টিকেটেড শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার। কারণ ডিএনএর ভেতর যে জিন থাকে তার কাজ ও নির্দেশনা জেনে আধুনিক বিজ্ঞানীরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন।

🇨🇭 DNA- ডিএনএ বা ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড কী দিয়ে তৈরি পবিত্র কুরআন মতে, প্রাণী সৃষ্টির সূচনার চারটি ধরন দেখতে পাই। প্রথমত, আল্লাহ প্রথম মানব হজরত আদম আ:কে সৃষ্টি করেছেন মাটি ও পানি থেকে। এরপর ভেতরে রুহ ফুঁকে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, আদম আ: থেকে বিপরীত লিঙ্গের হজরত বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন বিপরীত লিঙ্গের ক্লনিং করে ( সূরা: নিছা-01 )। তৃতীয়ত, স্বামী-স্ত্রী থেকে সন্তান-সন্ততি ও বংশধারা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। চতুর্থত, ফার্টিলাইজেশন ছাড়া কিংবা অটো ফার্টিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় যা এখনো মোমাছি বা পিঁপড়া জাতীয় প্রাণীর মধ্যে বিদ্যমান। এ প্রক্রিয়াকে পারথেনোজেনেসিস বলে। সৃষ্টির সূচনা যেভাবেই হোক তা উদ্দেশ্যহীন কিংবা নিয়মবিহীন নয়। হে আমাদের রব, তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করোনি ( সূরা: আলে ইমরান-191 )।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

❤ আল্লাহ, যখন কোনো কিছু সৃষ্টি করেন, তখন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং বংশপরম্পরার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিয়মও বাতলে দেন। ( যিনি সৃষ্টি করেন এবং সুষম করেন। অত:পর নিয়তি নির্ধারণ করেন এবং কিভাবে চলতে হবে তার পথ নির্দেশনা দেন )।সূরা আ’লা : 02-03, এ জন্যই সব সৃষ্টির ক্ষেত্রে সূচনা যেভাবেই হোক, তার বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি পাওয়া এবং বংশপরম্পরা রক্ষা করার বিধান সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য। বেঁচে থাকার এই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা – আল্লাহ, জেনেটিক কোড আকারে প্রতিটি প্রাণিকোষেই দিয়ে দিয়েছেন। আর তাই সৃষ্টিকর্তা সব প্রাণীর সব কোষেই একটি করে তথ্য সেন্টার ঠিক করে দিয়েছেন যেখান থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেই তথ্য সেন্টারের নাম হলো DNA – ডিএনএ’র ভেতরে থাকা নিউক্লিওটাইড বেজ পেয়ার। সুতরাং DNA-ডিএনএ, ছাড়া কোনো জীবিত প্রাণী হয় না। তবে 1943 সালের আগে, বেশির ভাগ বিজ্ঞানী মনে করতেন, প্রোটিনই জেনেটিক কোড সংরক্ষণ করে। কিন্তু এখন এটি পরিষ্কার যে, জেনেটিক কোড থাকে ক্রমোজমে অবস্থান করা ডিএনএর নিউক্লিওটাইড বেজ পেয়ারে।

🇨🇭 1869 সালে- ফ্রেডরিচ মিশার প্রথম এই ডিএন এ সম্পর্কে ধারণা দেন। কিন্তু তিনি ডিএনএর গঠন সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেননি। ব্রিটিশ আণবিক জীববিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক 25 এপ্রিল, 1953 – এ DNA – ডিএনএ -র গঠন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। ডিএনএর গঠনের বর্তমান মডেলটি মূলত জীববিজ্ঞানী ওয়াটসন ও পদার্থবিজ্ঞানী ক্রিকের 1953 সালে বিখ্যাত ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত মডেলেরই প্রতিচ্ছবি। যে যুগান্তকারী আবিষ্কারের কারণে তারা 1962 সালে নোবেল পুরস্কার পান। প্রতিটি ক্রমোজম একেকটি দ্বি-সূত্রক ডিএনএ ফাইবার ও হিস্টোন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি, অর্থাৎ প্রতিটি ক্রমোজম একেকটি নিউক্লিওপ্রোটিন।

🇨🇭 ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড বা ডিএনএ হলো হিস্টোন নামের প্রোটিনের চার দিকে ঘুড়ির নাটাইয়ের সুতার মতো করে পেঁচানো কোটি কোটি নিউক্লিওটাইড অণুর তৈরি একটি ডাবল ফাইবার চেইন। এখানে হিস্টোন নামের প্রোটিনটি মূলত ঘুড়ির নাটাইয়ের ভূমিকায় আর নিউক্লিওটাইডের লম্বা চেইন দু’টি মিলে একটি সুতার ভূমিকায়। বেজ পেয়ারের 99.9 শতাংশেরও বেশি মানুষের জিন একই রকম। বাকি 01 শতাংশেরও কম ভ্যারিয়েশনের কারণেই মানুষে মানুষে এত পরিবর্তন। এখানে প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে, আমাদের ডিএনএর জিনেও মানুষের মাঝে 99 শতাংশেরও বেশি মিল, সে জন্য বাকি যে অমিলটুকু আছে তা-ও দূর করে ফেলাটাই হলো ন্যাচারাল বিষয়। তা ছাড়া জিনসমৃদ্ধ ডিএনএ মোট ডিএনএর মাত্র 1-3 শতাংশ।

WhatsApp Image 2024 05 06 at 00.55.18 38505cfd

🇨🇭 একটি অক্ষর আরেকটি অক্ষরের সাথে মিলে যেভাবে একটি অর্থপূর্ণ শব্দ হয়, তেমনি একটি নাইট্রোজেন বেজ আরেকটি নাইট্রোজেন বেজের সাথে অক্ষরের মতো অর্থপূর্ণভাবে মিলিত হয়ে যে ডিএনএ সিকুয়েন্স তৈরি করে, তা-ই মূলত ডিএনএর ভাষা। সে তার ভাষায় বলে দেয় কখন কোথায় কিভাবে কতটুকু প্রোটিন তৈরি করতে হবে। কোনো প্রোটিন তৈরি করতে হলে ডিএনএ সরাসরি অংশগ্রহণ না করে জিনের নির্দেশে মেসেঞ্জার আরএনএ তৈরি করে। এই মেসেঞ্জার আরএনএ মেসেজ নিয়ে সাইটোপ্লাজমে যায় এবং রাইবোজমকে বলে প্রোটিন তৈরি করে দিতে। আরএনএ হলো পুরো একটি মইয়ের লম্বালম্বিভাবে অর্ধেক অংশ মাত্র। DNA – ডিএনএ’র সাথে আরেকটি বড় পার্থক্য হলো আরএনএর বেজ তৈরিতে অন্য তিনটি বেজ ডিএনএএর মতো ঠিক থাকলেও মাত্র একটি বেজ যা থাইমিনের পরিবর্তে ইউরোসিল থাকে।

🇨🇭 আমরা জানি, ডিএনএর উৎস হলো দু’টি- একটি হলো নিউক্লিয়াস, অপরটি হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। নিউইয়াসের – DNA -ডিএনএ’র প্রতিটি বেজ পেয়ারের একটি অংশ আসে মা থেকে এবং অন্য অংশটি আসে বাবা থেকে। অর্থাৎ আমরা যে দ্বি-সূত্রক DNA – ডিএনএ, দেখি তাতে মা-বাবার অংশগ্রহণ ফিফটি ফিফটি। কিন্তু মানবদেহের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ আসে পুরোপুরি মায়ের কাছ থেকে। বিস্ময়কর ব্যাপার, আলট্রামলিকুলার লেভেলেও সৃষ্টির জোড়া তত্ত্বের অস্তিত্ব খুঁজে পাই।

❤ যেমনটি পবিত্র কুরআনের সূরা নাবার- 08 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- ( আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায় )। দেখা যাচ্ছে সৃষ্টির জোড়া তত্ত্বের প্রয়োগ আলট্রা মলিকুলার লেভেল থেকেই শুরু হয়েছে। প্রতিটি নিউক্লিওটাইড অণুর তিনটি অংশ- এক অণু ডি-অক্সিরাইবোজ সুগার, এক অণু ফসফেট এবং আংটির মতো আকৃতির এক অণু নাইট্রোজেনাস বেজ। নাইট্রোজেনাস বেজ বা ক্ষার চার ধরনের- এডেনিন, গোয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন।

🇨🇭 এক অণু নিউক্লিওটাইড গঠিত হয় এক অণু সুগার, এক অণু ফসফেট এবং চারটি বেজ বা ক্ষার এর যেকোনো একটি বেজ দিয়ে। নিওক্লিওটাইড অণুটিকে অনেকটা ইংরেজি ক্যাপিটাল ‘এল’ অক্ষরের মতো করে ব্যাখ্যা করা যায়, যার দুই বাহুর মিলন বিন্দুতে থাকে যদি এক অণু সুগার, বিন্দুর দুই সাইডে লাগানো দু’টি বাহুর একটি হলো এক অণু ফসফেট, আরেকটি হলো এক অণু বেজ। ফসফেট ও বেজের দু’টি বাহু সুগার বিন্দুর সাথে লম্বালম্বিভাবে যুক্ত থেকে ইংরেজি বর্ণমালা ‘এল’ আকৃতি ধারণ করে। একটি ‘এল’ মানে নিউক্লিওটাইডের একটি অণু ( সুগার, ফসফেট, বেজ )। এভাবে একটি ‘এল’ মানে এক অণু নিউক্লিওটাইড আরেকটি ‘এল’-এর সাথে যুক্ত হয়ে লম্বা চেইন আকারে লক্ষ-কোটি নিউক্লিওটাইডের একটি পলিনিউক্লিওটাইডের লম্বা চেইন হয়। এ রকম দু’টি চেইন তৈরি হয়। পুঁতির মালার মতো একটার পর একটা যুক্ত হয়ে তৈরি হওয়া দু’টি চেইনই হিস্টোনের চার দিকে পেঁচিয়ে নিউক্লিক এসিডের একটি অণু গঠিত হয়, যা সংক্ষেপে ডিএনএ নামে পরিচিত। নিউক্লিওটাইডের চেইনটি থাকে অনেক লম্বা। হিস্টোনের চার দিকে পেঁচানোয় অল্প জায়গায় অনেক লম্বা চেইন জায়গা করে নেয়। নিউক্লিওটাইডের অণু থেকেই মূলত মানুষের ‘জিন’ তৈরি হয়। কিন্তু নিউক্লিওটাইডের সব অণুই ‘জিন’ গঠনে অংশগ্রহণ করে না। প্রতিটি ডিএনএর যে অংশ প্রোটিন উৎপাদনের নির্দেশিকা বহন করে তাদেরই জিন বলে। এই জিনের আকার ছোট-বড় আছে। একেকটি জিন এক হাজার থেকে 20 লাখ বেজ পেয়ার দিয়ে হয়ে থাকে। তবে গড়ে 27 হাজারটি নিউক্লিওটাইডের অণুর বেজ পেয়ারের সমন্বয়ে তৈরি হয় একটি মানব জিন। মানবদেহের পুরো জিন তৈরিতে ডিএনএর মাত্র এক-দুই শতাংশ বেজ পেয়ার ব্যবহৃত হয়। একটি ক্রমোজম বা ডিএনএতে দুই হাজার থেকে দুই হাজার 100 টি পর্যন্ত জিন থাকে। একটি কোষের 23 জোড়া ক্রমোজমে 20 হাজার জিন থাকতে পারে।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 DNA – ডিএনএ , অণুটিকে যদি অন্যভাবে ব্যাখা করা হয় তা হলে বলতে হয়, ডিএনএ নিউক্লিওটাইড নামক অণু দিয়ে গঠিত। প্রতিটি নিউক্লিওটাইড অণুতে তিনটি উপাদান থাকে- একটি ফসফেট গ্রুপ যার একটি ফসফরাস চারটি অক্সিজেন পরমাণুর সাথে সংযুক্ত থাকে; একটি ডি-অক্সিরাইবোজ সুগার অণু এবং চারটির যেকোনো একটি নাইট্রোজেন বেজ। চার ধরনের নাইট্রোজেন বেজ অ্যাডেনিন (এ), থাইমিন (টি), গুয়ানিন (জি) ও সাইটোসিন (সি) একসাথে ডিএনএর ভাষা তৈরির ‘অক্ষর’ হিসেবে কাজ করে। এই চারটি ‘অক্ষর’ বা বেজ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সংযুক্ত হয়ে ডিএনএর ভাষা তৈরি হয়, যার মাধ্যমে তারা সঙ্কেত পাঠায় প্রোটিন তৈরির।

🇨🇭 নিউক্লিওটাইডগুলো একটার সাথে আরেকটার একসাথে সংযুক্ত করে দু’টি দীর্ঘ সুতা তৈরি করে, যা সর্পিল হয়ে একটি কাঠামো তৈরি করে যার নাম ডাবল হেলিক্স। যদি ডাবল হেলিক্স গঠনটিকে একটি মইয়ের সাথে তুলনা করা হয়, ফসফেট এবং ডি-অক্সিরাইবোজ সুগার অণুগুলো মইয়ের পাশে অবস্থান করে এর ব্যাকবোন তৈরি করে এবং বেজ জোড়াগুলো হবে দু’টি ব্যাকবোনকে একত্রে ধরে রাখার দণ্ড, যা দু’টি ব্যাকবোনকে একত্রে ধরে রাখে। একটি ব্যাকবোন আরেকটি ব্যাকবোনের সাথে বেজ পেয়ার দিয়ে আঁটোসাঁটো করে বাঁধা থাকে। বেজ পেয়ারের এই বাঁধানোরও একটা নিয়ম আছে। আর তা হলো এডেনিন বেজের সাথে থাইমিন বেজের জোড়া (এ-টি) এবং গুয়ানিন বেজের সাথে সাইটোসিনের জোড়া (জি-সি)। একেক জিনের একেক কাজ। এ রকম অসংখ্য জিন থাকে একটি ডিএনএ অণুতে যাদের বলা হয় জেনেটিক মেটারিয়াল।

আরো পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন | Male Sex Hormone Testosterone | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 একটি কোষের পুরো নিউক্লিক এসিড চেইনটিতে যে কমপ্লিট সেট জিন থাকে, সে কমপ্লিট সেট অব জিনকে একত্রে জেনোম বলে। মানুষের জেনেটিক ইনফরমেশন ট্রান্সফার সিস্টেম এতটাই শক্তিশালী যে, 800 মিলিয়ন বছর পর্যন্ত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জেনেটিক ইনফরমেশন ট্রান্সফার করতে পারে। একটি মানব কোষে 23 জোড়া ক্রমোজম আছে। কোষের ডিএনএ হলো হার্ডওয়্যার এবং এর ভেতর সংরক্ষিত সব নির্দেশনা হলো সফটও্যয়ার। সে হিসাবে মহাবিশ্বও কম্পিউটারের মতোই। কারণ মহাবিশ্বের সব গ্রহ নক্ষত্র হলো হার্ডওয়্যার আর এর মধ্যকার যে ন্যাচারাল বিধান যার কারণে এরা প্রতিনিয়ত ঘুরছে নিজস্ব কক্ষপথে তার সবই সফটওয়্যার। মানব জিন ডিএনএর একটি খণ্ডাংশ মাত্র। একটি ডিএনএ হলো চারটি বিভিন্ন ধরনের নিউক্লিওটাইড সাব-ইউনিটেরই একটি লম্বা চেইন মাত্র যা লম্বালম্বিভাবে মেলে ধরলে পাঁচ সেন্টমিটার লম্বা হবে। একটি মানব কোষে থাকা 46 টি ক্রমোজমকে একত্র করলে হবে দুই মিটার লম্বা। এভাবে একজন মানুষের সব কোষ মিলে যতগুলো ক্রমোজম আছে তার সবই লম্বালম্বিভাবে একত্র করলে হবে 110 বিলিয়ন মাইল লম্বা যা পৃথিবী থেকে সূর্যের 09 কোটি 30 লাখ মাইল দূরত্ব 600 বার যাতায়াত করা যাবে।

🇨🇭 DNA – ডিএনএ’র কাজ কি?

🇨🇭 ডিএনএর মধ্যে থাকা ‘জিন’ তিন ধরনের কাজ করে থাকে। প্রথমত, জেনেটিক্যালি উত্তরাধিকারীর চরিত্র নির্ধারণ, দ্বিতীয়ত, ইমিউনোলজিকাল এবং তৃতীয়ত, স্ট্রাকচারাল বা কাঠামোগত পদার্থ যেমন: নানান প্রোটিন তৈরির নির্দেশনা। দেখা যাচ্ছে, একজন মানুষের জেনেটিক কনস্টিটিউশন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শরীর গঠনের ক্ষমতা একেবারে মেয়েদের ওভাম আর ছেলেদের স্পার্ম নিষিক্তকরণের ক্ষণ থেকেই পেয়ে থাকে। তবে ডিএনএর মূল কাজ হলো প্রোটিন তৈরির বায়োলজিক্যাল ব্লুপ্রিন্ট জমা করে রাখা। বুক অব জেনেসিসের 01:21-25, অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘প্রতিটি জীবন্ত প্রাণী তার মতো করে প্রাণীর পুনরুৎপাদন করে’ যার জন্য শিশুরা তাদের পিতা-মাতার মতো হয়। ডিএনএ আক্ষরিক অর্থে, পুরো জীবন পরিচালনার নীলনকশা। একটি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে, আপনি খুঁজে পেতে পারেন, বিশ্বের কোন অঞ্চলে আপনার পূর্বপুরুষরা শত থেকে হাজার বছর আগে বসবাস করতেন, কেন ও কোথায় তারা স্থানান্তরিত হয়েছেন।

🇨🇭 বিজ্ঞানীদের ধারণা, আপনি যদি প্রতি মিনিটে 60 শব্দ, দিনে আট ঘণ্টা টাইপ করতে পারেন, তা হলে মানুষের জিনোম টাইপ করতে প্রায় 50 বছর সময় লাগবে। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের ধারণা, DNA-ডিএনএ’র বেজ পেয়ারে এত কনসেন্ট্রেটেড ফর্মে ইনফরমেশন জমা থাকে যে, এক মিলিয়ন বেজ পেয়ারের স্টোরেজ ক্ষমতা কম্পিউটারের এক মেগাবাইটের সমান। তিন বিলিয়ন বেজ পেয়ারে ইনফরমেশন স্টোরেজের জন্য কম্পিউটারের তিন গিগাবাইটের সমপরিমাণ স্পেস হলেই চলে। এ পর্যন্ত দুনিয়াতে যত লোক এসেছে, যত লোক এখন আছে এবং যত লোক কিয়ামত পর্যন্ত আসবে তত লোকের ডিএনএতে জমা ইনফরমেশনকে মাত্র এক আধুলি পরিমাণ হার্ডডিস্ক জায়গাতেই সংরক্ষণ করা যাবে। এক গ্রাম ডিএনএতে এক বিলিয়ন টেরাবাইট ইনফরমেশন জমা থাকে। ( এক টেরাবাইট = এক হাজার গিগাবাইট )। ডিএনএ অণুর স্ট্র্যান্ডে এনকোড করা এত তথ্য আছে যে, মানব জীবনের সব কর্মকাণ্ড স্টোর করা এ তথ্য পড়ে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয়। ঠিক যেমন একটি কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ থেকে তার নির্দেশাবলি পড়ে। আমরা জানি বাইনারি কোড হলো কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক ডিভাইসের ভাষা। শূন্য ও এক সংখ্যাগুলো দিয়ে গঠিত হয় কম্পিউটারের বাইনারি কোড।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 ঠিক তেমনি ডিএনএর আণবিক কোড, এ, টি, জি, সি অক্ষরগুলো হলো ডিএনএর ভাষার অক্ষর। এসব অক্ষর সমন্বয়ে গঠিত নির্দিষ্ট ক্রম দিয়ে গঠিত বেজ পেয়ার হলো ডিএনএর ভাষা। কম্পিউটারের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সব তথ্য জমা থাকে আর ডিএনএর মধ্যকার বায়োকেমিক্যাল ডিভাইসের বেজ পেয়ারে জমা থাকে জেনেটিক কোড হিসেবে সব তথ্য। ক্রমোজম আছে শুধু পড়া যায় এমন একটি ডাটা স্টোরেজ বায়োকেমিচাল ডিভাইস। সুতরাং ডিএনএ হলো একটি উচ্চ প্রযুক্তি তথ্য সঞ্চয় করার যন্ত্র। এটি এমন একটি তথ্য সঞ্চয় যন্ত্র, যা মানব জাতির উদ্ভাবিত সব কিছুকে হার মানিয়ে গেছে। 2012- সালের সেপ্টেম্বরে সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছেন এই বলে যে, ডিএনএ হলো প্রকৃতির সবচেয়ে ঘন এবং স্থিতিশীল বায়োকেমিক্যাল তথ্য বক্স।

🇨🇭 DNA -ডিএনএ, তথ্য সংরক্ষণের স্টোর হাউজ। পুরো হিউমান জেনোম হলো একটি বই, ৪৬টি ক্রমোজম হলো এক একটি অধ্যায় আর জিনগুলো হলো বিভিন্ন রেসিপি। জিনের সাইজ অনুপাতে মেসেঞ্জার আরএনএ থেকে শুরু করে একটি প্রোটিন তৈরি হতে মাত্র 20 সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট সময় লাগে। রাইবোজম হলো প্রোটিন তৈরির ফ্যাক্টরি। জিনের আকারের ওপর নির্ভর করে, এমআরএনএ থেকে একটি সাধারণ প্রোটিন অণু তৈরি করতে 20 সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট সময় লাগে। একাধিক রাইবোজম একই এমআরএনএ স্ট্র্যান্ডের ওপর কাজ করতে এবং একসাথে একাধিক প্রোটিন তৈরি করতে পারে। প্রতিটি কোষে এক কোটি পর্যন্ত রাইবোজম রয়েছে, যা অন্যান্য কোষের সাথে চাহিদা অনুযায়ী প্রোটিন তৈরি করে। এ ডেনিন সব সময় থাইমিন বেজের সাথে হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থেকে বা জোড়া তৈরি করে মইয়ের একেকটি স্টেপ তৈরি করে আবার গুয়ানিন সর্বদা সাইটোসিনের সাথে হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে জোড়া তৈরি করে মইয়ের আরেকটি ধাপ তৈরি করে। এভাবে একেকটি বেজ পেয়ার মইয়ের একেকটি ধাপ তৈরি করে দুই সাইটেই ফসফেট আর সুগার দিয়ে মইয়ের ব্যাকবোন তৈরি হয়ে যায়। বেজ পেয়ারের মধ্যেই অর্থাৎ নিউক্লিওটাইড বেজ পেয়ারেই সব তথ্য জমা থাকে যার ভূমিকা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মতোই।

🇨🇭 মইয়ের ধাপ বা বেজ দুই সাইটেই সবসময় সুগারের সাথে যুক্ত হয়। এই সুগারের সাথে আবার দু’টি ফসফেট যুক্ত হয়ে মইয়ের সাইট তৈরি করে ফেলে। এখানে নাইট্রোজেনাস বেজ+সুগারের সংযুক্তিকে একত্রে নিউক্লিওসাইড আর বেজ+সুগার+ফসফেটকে একত্রে নিউক্লিওটাইড বলে। একটি কোষের নিউক্লিয়াসে থাকা ক্রমোজম তৈরি হতে লাগে হিস্টোন নামের একটি প্রোটিন যাকে পেঁচিয়ে রাখে ডান থেকে বামে ঘূর্ণায়মান একটি মই, যে মইয়ে থাকে পাঁচ থেকে 25 কোটি বেজ পেয়ার। আমাদের একটি কোষের পুরো জেনোমে তিন বিলিয়ন বেজ পেয়ার থাকে।

🇨🇭 DNA-ডিএনএ’র তিনটি বেজ পেয়ার মিলে একটি কোডন হয়, যা মূলত অ্যামাইনো এসিড তৈরির কোড যেখান থেকে তৈরি হয় নির্দিষ্ট প্রোটিন। এই কোডন আবার দুই রকম। একটি স্টার্ট কোডন যা মূলত প্রোটিন তৈরিতে অংশ নেয়। আরেকটি কোডন হলো স্টপ কোডন যারা প্রোটিন তৈরিতে অংশ নেয় না। কোডন হলো তিনটি নিউক্লিওটাইডের একটি ডিএনএ বা আরএনএ ক্রম যা একটি নির্দিষ্ট এসিড এনকোডিং বা প্রোটিন সংশ্লেষণ করার সঙ্কেত করে জিনোমিক তথ্যের একটি ইউনিট গঠন করে। এ রকম 64 টি ভিন্ন কোডন রয়েছে যার 61 টি অ্যামাইনো এসিড নির্দিষ্ট করে।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 ডিএনএর সাজানো বেজ পেয়ারের এক বা একাধিক পরিবর্তনই হলো মিউটেশন। একটি ক্রমোজমের ডিএনএ বেজ পেয়ারের মাত্র 2-3 শতাংশ জায়গা দখল করে থাকে মানুষের জিন। একটি জিন ডিএনএর খণ্ডাংশ মাত্র যা গড়ে 10-15 হাজার বেজ পেয়ার দিয়ে তৈরি। ডিএনএর যে অংশে জিন থাকে তা এক্সন ও ইন্ট্রন এই দুই ভাগে বিভক্ত। এক্সন অংশেই মূলত প্রোটিন তৈরির কোড থাকে কিন্তু ইন্ট্রন অংশকে জাংক ডিএনএ বলা হয়ে থাকে যারা প্রোটিন তৈরির কাজের রেগুলেটরের ভূমিকা পালন করে। মানুষের পুরো জেনোমে 20-25 হাজার জিন থাকে। ফরেনসিক মেডিসিনে ডিএনএ বিশ্লেষণ করতে সাধারণত 13 টি লোকেশনের নির্দিষ্ট ডিএনএ মার্কার ( ডিএনএ সেগমেন্ট ) দেখা হয়। দুই ব্যক্তির 13 টি লোকেশনের ডিএনএ প্রোফাইল একই থাকবে এমন সম্ভাবনা এক বিলিয়নের মধ্যে একটি মাত্র। এভাবে দুই ব্যক্তির ডিএনএ আলাদা করে চেনা যায়।

🇨🇭 DNA -ডিএনএ, ফিগারপ্রিন্টেও ডিএনএ মার্কার ব্যবহার করা হয়, কারণ আইডেন্টকাল টুইন ছাড়া দুনিয়ার কারো সাথে কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলবে না। তবে মা-বাবার সাথে ছেলেমেয়েদের ও ভাইবোনদের সাথে ফিঙ্গারপ্রিন্ট 50 শতাংশ মিলে যাবে। পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন ব্যবহার করে ডিএনএকে বহুগুণে বর্ধিত করে রোগ নির্ণয়ের কাজে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়াও পিতৃত্ব নির্ণয়, অপরাধী শনাক্ত করা, নিরপরাধীকে শনাক্ত করে মুক্তি দেয়া এবং শস্যের পিউরিটি নির্ণয়সহ আরো বহু কাজে ডিএনএকে ব্যবহার করা হয়।

🇨🇭 DNA -ডিএনএ, আবিষ্কারের ইতিহাস:

🇨🇭 ডিএনএ, গুরুত্বপূর্ণ এই বায়োমলিকিউল এর আবিষ্কারের কীর্তি অনেকেই দিয়ে থাকেন জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রানসিস ক্রিককে। রসায়নের ইতিহাস পরিক্রমায় ডিএনএ উদঘাটনের কীর্তি গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো ঘটনা কেন্দ্রিক , হেলিক্সের মতোই এর আবিষ্কারের রহস্যও সময়ের সাথে সাথে নিয়েছে বিভিন্ন বাক ; শেষ পরিণতি আজকের সর্বজনস্বীকৃত ডাবল হেলিক্স কাঠামো।

🇨🇭 শুরুটা হয়েছিল আরও 100 বছর আগে সুইস কেমিস্ট ফ্রেডরিখ মিশারের কাজের সূত্র ধরে।মিশারের প্রথমবারের মতো ডিএনএ পর্যবেক্ষণ ছিল বায়োলজিক্যাল সাইন্সের জন্য অনেকটাই আশীর্বাদস্বরূপ যা পরবর্তীতে ফোবাস লিভেন এবং এরুইন শারগফের মতো সাইন্টিস্টদের ডিএনএ তথা নিউক্লিক এসিডের উপর গবেষণা কর্ম সাধনে চমৎকার প্রেরণার উৎসরুপে কাজ করেছে ।

🇨🇭 ফ্রেডরিখ মিশার যে বছর শ্বেত রক্ত কণিকায় প্রথম ডিএনএ পর্যবেক্ষণ করলেন, সে সময়টাকে এখনো জেনেটিক রিসার্চের ক্ষেত্রে ( Landmark ) হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে মিশারের এই কাজের মাধ্যমে এই বায়োমলিকিউল কিন্তু প্রথমেই ডিএনএ নামে পরিচিত হয় নি, এর নাম মিশার দিয়েছিলেন নিউক্লিন, নিউক্লিনে এসিড সদৃশ ধর্ম দেখতে পান অল্টম্যান, যার দরুণ পরবর্তীতে এর নাম হয়ে যায় নিউক্লিক এসিড। শ্বেত রক্ত কণিকা বা লিউকোসাইটের প্রোটিন বিশ্লেষণ ছিল মিশারের গবেষণা কাজের মূল উদ্দেশ্য, ডিএনএ তথা নিউক্লিনের উপস্থিতি ছিল তাই অনেকটাই অপ্রত্যাশিত।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 কাজের সুবিধার্থে লিউকোসাইট এর খোঁজে সংগ্রহও করে ফেললেন রোগীর ক্ষত স্থানে ব্যবহৃত ব্যান্ডেজ আর পুজ সহ গজ। এগুলো থেকে সংগ্রহ করা লিউকোসাইট এক্সট্রাক্টের বিশ্লেষণে প্রোটিন অণুর উপস্থিতি মিশার পেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু একটি বিষয় তাকে বেশ ভাবিয়ে তুললো- লিউকোসাইটিক নিউক্লিয়াসে এক ধরনের পদার্থ দেখা যাচ্ছে যার ধর্ম কোনো সাধারণ প্রোটিনের মতো তো নয়ই বরং এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ফসফরাস কনটেন্ট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রচলিত উপায়ে প্রোটিওলাইসিস করার কয়েকবার চেষ্টাও করলেন মিশার- না, তাও হলো না! বারংবার চেষ্টার পর ব্যর্থতায় মগ্ন না হয়ে মিশার রাত দিন কাজ করতে থাকলেন। অবশ্য ব্যাপারটাকে একদিক থেকে অতোটা উপেক্ষাও করতে পারলেন না, খানিকটা আত্মবিশ্বাস থেকেই তার মনে হলো কোনো নতুন জৈব অণুর সন্ধান তিনি পেতে চলেছেন। রিসার্চ ফাইন্ডিংস এর গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি লিখেছিলেন, “আমার কাছে মনে হয়, কোষে নিউক্লিন নামক এক ধরণের অণুর উপস্থিতি বেশ সক্রিয় যাদের মধ্যে ফসফরাস কনটেন্ট এর সামান্য ব্যত্যয় থাকতে পারে তবে অণুগুলোকে প্রোটিন অণুর সমতুল্যও বলা যায়।”

🇨🇭 মিশারের নিউক্লিন তথা নিউক্লিক এসিডের আবিষ্কারের গুরুত্ব তৎকালীন সংশ্লিষ্ট মহলে আশাজনকভাবে অনুধাবিত না হলেও পরবর্তীতে বড় বিজ্ঞানী মহলে সমাদৃত হতে কেটে যায় ৫০ বছরেরও বেশি। এ প্রসংগে এরুইন শারগফের এক প্রবন্ধ বিশ্লেষণে দেখা যায়, শারগফ উনিশ শতকের বিজ্ঞানের ইতিহাসে নিউক্লিক এসিড গবেষণায় চার্লস ডারউইন, থমাস হাক্সলের মত খ্যাতিমান বিজ্ঞানীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করলেও ফ্রেডরিখ মিশারের কথা আকস্মিকভাবে একবারও উল্লেখ করেন নি।

🇨🇭 বিশ শতকের কাছাকাছি নিউক্লিনের রাসায়নিক প্রকৃতি নিয়ে নতুন ধারায় কাজ শুরু করেন আরও কয়েকজন বিজ্ঞানী , ততোদিনে মিশারের গবেষণার কৃতিত্ব প্রায় ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে। এদের মধ্যে অগ্রগামী রাশিয়ান বায়োকেমিস্ট ফোবাস লিভেন, বায়োলজিক্যাল মলিকিউলসের উপর যিনি ওই সময় 700 রও অধিক গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছিলেন। একক নিউক্লিওটাইড অণুর ক্রম শনাক্তকরণে, ( RNA-DNA )’র মধ্যে পার্থক্যকরণে এবং এসব অণুতে রাইবোজ ও ডিঅক্সিরাইবোজের উপস্থিতি শনাক্তকরণে তিনি ছিলেন অন্যদের জন্য পথিকৃৎ।

🇨🇭 লিভেনের আগে সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের এটা জানা ছিল না যে DNA’র প্রতিটি নিউক্লিওটাইড একটা আরেকটার সাথে ত্রিমাত্রিক স্থানে কীভাবে সন্নিবেশিত থাকে। এতো অধিক সংখ্যক নিউক্লিওটাইড গ্রুপ যারা কেবল নিজেদের মধ্যে বন্ড করতে পারে এক্ষেত্রে তাদের সজ্জিত হবার অসংখ্য পন্থা থাকাটাই স্বাভাবিক- এরূপ অনুমানের ভিত্তিতে অনেকেই অনেক রকম মডেল প্রস্তাব করলেও শেষ পর্যন্ত স্বীকৃতি লাভ করে লিভেনের পলিনিউক্লিওটাইড মডেলটিই। ইস্টের নিউক্লিক এসিডের উপর কয়েকশো পরীক্ষা চালিয়ে লিভেন যে মতবাদ প্রদান করেন সেটা ছিল অনেকটা এরকম যে, নিউক্লিক এসিডগুলো অসংখ্য নিউক্লিওটাইড অণুর সমন্বয়ে তৈরি এবং প্রতিটা নিউক্লিওটাইড অণু আবার নাইট্রোজেন বেইস-শ্যুগার-ফসফেট গ্রুপ এই ট্রায়োর সমন্বয়ে তৈরি। 19 শতকের শুরুতে প্রস্তাবিত এই মডেলে লিভেন উল্লেখ করেন যে, নতুন তত্ত্ব বা প্রমাণাদির সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে প্রচলিত নিউক্লিক এসিডের গঠন কাঠামোয় ভিন্নতা আগামী গবেষণাগুলোতে স্পষ্ট হতে পারে , তবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই যে নিউক্লিক এসিডগুলো একেকটা পলিনিউক্লিওটাইড।

🇨🇭 গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি গবেষণা এ সময় চলছিল পলিনিউক্লিওটাইড চেইনে নিউক্লিওটাইডগুলোর ক্রম শনাক্তকরণের উপর। একেবারে আলাদা না হলেও, লিভেন তার মডেলে টেট্রানিউক্লিওটাইড চেইনে নিউক্লিওটাইডের একটা সুনির্দিষ্ট ক্রম নিয়ে কথা বলেছিলেন যেটাকে এখনকার রীতিতে সাংকেতিকভাবে প্রকাশ করলে দাঁড়াবে, G-C-T-A-G-C-T-A….। লিভেনের নিউক্লিওটাইড ক্রমের সুনির্দিষ্টতা অতিসাধারণ হওয়ায় কয়েকজন বিজ্ঞানী এটাও ধারণা করেন যে নিউক্লিওটাইডের এই ক্রম কোনো নির্দিষ্ট সিকোয়েন্স অনুসরণ করে না বরং এদের সজ্জিত হওয়া সম্ভব আরও ভিন্ন কয়েকটা উপায়ে। লিভেনের পলিনিউক্লিওটাইড মডেলকে সমর্থন জানিয়ে ডিএনএর আরও বিস্তারিত ও সূক্ষ্ম বর্ণনা এবার দিতে চেষ্টা করেন এরুইন শারগফ, বলা যায় শারগফের এই কাজ ছিল ওয়াটসন-ক্রিকের গবেষণার জন্য অনেকটাই ক্যাটালিস্টের মতো। শারগফের এরূপ প্রেরণার সূত্র যে তবে কেবলই লিভেনের রিসার্চ ফাইন্ডিংস, এমনটা সরাসরি বলা হয়ত ঠিক হবে না।

ডিএনএ ( DNA ) এর বিস্ময়কর ও বিস্তারিত তথ্য | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 তৎকালীন সময়ে রকফিলার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অস্টওয়াল্ড এভারি তার এক রিসার্চ পেপারে বলেছিলেন,
বংশগতির অন্যতম উপাদান জিনগুলো ডিএনএ র সমন্বয়ে তৈরি, গঠনগত একক হিসেবে ডিএনএ র সূক্ষ্মগঠন ও বিন্যাস উন্মোচিত হলে অদূর ভবিষ্যতে জেনেটিক্স এ কত বড় ধারণাগত পরিবর্তন যে ঘটতে চলেছে- তার গুরুত্ব শারগফ এখান থেকেই হয়তবা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। নিউক্লিক এসিড নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শারগফের টিম বিভিন্ন প্রাণি প্রজাতির ডিএনএ সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে তুলনামূলক কাঠামোগত শ্রেণিভেদের চেষ্টা করে। অবশেষে 1950- সালের দিকে তারা দুই ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন: প্রথমত, DNA – ডি এন এ, অণুতে নিউক্লিওটাইডগুলোর সজ্জা প্রজাতিভেদে পরিবর্তনশীল। দ্বিতীয়ত, নিউক্লিওটাইড ক্রমের ভিন্নতা সত্ত্বেও সব ধরনের ডিএনএ অণুতে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সাধারণ বৈশিষ্ট্য বলতে তারা বুঝিয়েছিলেন যে, সব ধরনের ডিএনএ অণুতেই এডিনিন ও থায়ামিন,গুয়ানিন ও সাইটোসিন বেইস জোড়ার পরিমাণ সমতুল্য। এমনকি পিউরিন বেইস ( এডিনিন ও গুয়ানিন) এবং পাইরিমিডিন বেইস ( সাইটোসিন ও থায়ামিন) এর মোট পরিমাণও প্রায় কাছাকাছি।শারগফের দ্বিতীয় সিদ্ধান্তকেই মূলত এখন আমরা শারগফের রুল হিসেবে জানি। তবে পিউরিন ও পাইরিমিডিন বেইস জোড়ের আনুপাতিক সম্পর্কের যে ব্যাখ্যা শারগফ দিতে পারেন নি, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয় রোজালিন্ড ফ্রাংকলিন-মরিস উইলকিনসনের এক্স রে ক্রিস্টালোগ্রাফিক ওয়ার্ক আর ওয়াটসন ও ক্রিকের পাজেল মডেল এপ্রোচের মধ্য দিয়ে ।

🇨🇭 1951 সাল, ডেনমার্কের ন্যাপলিসের এক কনফারেন্সে উইলকিনসন ডিএনএ স্ট্রাকচারের উপর করা এক্স রে ক্রিস্টালোগ্রাফিক ফটোগ্রাফ প্রদর্শন করেছিলেন, Photo 51 নামে খ্যাত এ ফটোগ্রাফটি ছিল ফ্রাংকলিনের নেচারে প্রকাশিত আর্টিকেল থেকে নেয়া। ওই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন তরুণ গবেষক ওয়াটসনও, উইলকিনসনের প্রদর্শিত ক্রিস্টালোগ্রাফিক ইমেইজ ওয়াটসনকে অনেকটাই দ্বিধান্বিত করে । ছবিতে ডি এন এ ডাবল হেলিক্স মডেলের প্রত্যক্ষ নিদর্শন না থাকলেও এতে কিছু জোরালো ক্লু দেখলেন ওয়াটসন, যদিও ডিএনএ সুত্রক সংখ্যা, অণুর রাসায়নিক গঠন কাঠামোজনিত সূক্ষ্ম পরিমাপের অনেক কিছুই ছবিতে স্পষ্ট বোঝার উপায় ছিল না।ক্যামব্রিজের ক্যাভেন্ডিস ল্যাবরেটরিতে এ সময় কাজ চলছিল ক্রিস্টালোগ্রাফি ভিত্তিক আরও কিছু প্রজেক্টের। এদের মধ্যে একটি ছিল হিমোগ্লোবিন ও মায়োগ্লোবিন স্টাডি নিয়ে, ম্যাক্স পেরুটয আর জন কেনড্রিউর সাথে সেখানে কাজ করছিলেন ফ্রানসিস ক্রিকও। প্রজেক্টের থিসিস পেপার লিখবার সময়ই ক্রিকের সাথে দেখা ওয়াটসনের। সমসাময়িককালে কেমিক্যাল বন্ডিং নিয়ে কাজ করা লিনাস পলিং এর বল স্টিক মডেল এপ্রোচের অণুকরণে বিভিন্ন মডেল নিয়ে কাজ শুরু করলেন এই দুই গবেষক ।

🇨🇭 গঠন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওয়াটসন-ক্রিকের এরুপ ‘3D Model Approach’ কে গবেষণাগত সীমাবদ্ধতার ফলাফল হিসেবেও দেখেন কেউ কেউ। তাদের মতে, ওয়াটসন-ক্রিকের কাছে ক্রিস্টালোগ্রাফির জন্য উচ্চমানের ডিএনএ স্যাম্পল না থাকায় ডিএনএ র আনুমানিক ( Hypothetical ) গঠন বর্ণনার জন্যই ভৌত মডেলের সাহায্য নেন তারা।ক্রিস্টালোগ্রাফিক ডাটার অপ্রাপ্তির এই কথা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক নয়, ডাটাগুলো নিয়ে ওয়াটসন ক্রিকের আগেই অবশ্য কাজ করেছিলেন ফ্রাংকলিন যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ডিএনএ সূত্রকে পর্যায়বৃত্তিক গ্রুপগুলার মধ্যকার দূরত্ব, মনোক্লিনিক ইউনিট সেলের মাত্রা- ডিএনএর পরিপূরক সূত্র দুইটির সহাবস্থান তথা ডাবল হেলিক্স মডেল প্রমাণ করবার জন্য যা যথেষ্ট। এই তথ্যের সত্ত্ব ফ্রাংকলিনের কাছে সংরক্ষিত থাকলেও অনেকটা তার অগোচরেই পেরুটযের মারফত ডাটার রাফ কপি পৌছে যায় ওয়াটসন ক্রিকের কাছে।

🇨🇭 মজার ব্যাপার ছিল এই যে, এ ঘটনার আরও দু বছর আগে কিংস কলেজের এক সেমিনারের লেকচারে ফ্রাংকলিন যে ডাটা প্রদর্শন করেছিলেন সেগুলোর সাথে এই ডাটার ছিল হুবহু মিল, আর এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটসনও। অর্থাৎ ওয়াটসন ক্রিকের এই রিসার্চ ফাইন্ডিংস আরো দু বছর আগে পাওয়া সম্ভব ছিল।একই সময় কাজ করছিলেন লিনাস পলিং তার ট্রিপল ডিএনএ হেলিক্স মডেল নিয়ে কিন্তু সফলতার কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয় এই মডেলটি। প্রথমদিকে এক্স রে ডিফ্রাকশন ডাটা এবং শেষমেষ বল স্টিক মডেলের সাহায্য নেন পলিং। পলিং এর মডেলের ত্রুটি ছিল ফসফেট গ্রুপের অবস্থান নিয়ে, মডেলে দেখানো হয়েছে শ্যুগারের বেইস অংশটি বাইরের দিকে থাকায় ফসফেট গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে বন্ড তৈরির মাধ্যমে হেলিক্স তৈরি করছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এটা অদ্ভুত একটা ব্যাপার কারণ ঋণাত্বক চার্জবিশিষ্ট ফসফেট গ্রুপগুলো এভাবে বন্ড করতে থাকলে নিউক্লিওটাইডগুলোর মধ্যে বিকর্ষণ বলের যে উদ্ভব ঘটবে তাতে করে হেলিক্স এর অস্তিত্বই থাকার কথা না।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ফ্রাংকলিনের ডাটা নিয়ে কাজ করবার সময় ক্রিক লক্ষ্য করলেন, তার এ যাবত করা গবেষণায় হর্স হিমোগ্লোবিনের জিনে ডিএনএ র মনোক্লিনিক ইউনিট ডাটা ফ্রাংকলিনের সাথে অনেকটাই মিলছে। ডাটা ইন্টারপ্রিটেশন এর পূর্ব অভিজ্ঞতা ক্রিককে শক্তপোক্তভাবেই অনুমান করতে সহায়তা করে ডিএনএ সূত্রকের জোড়ায় জোড়ায় অবস্থানের নেপথ্যের কারণ, যা ফ্রাংকলিনের পক্ষে করা সম্ভব হয় নি। ফ্রাংকলিনের ল্যাব নোটবুক ঘেটে যতদূর অনুমান করা যায় তিনি সংগ্রহকৃত ডাটার জটিল ম্যানিপুলেশনের প্রয়োজনীয়তা সে সময় বুঝতে পারেন নি।ফ্রাংকলিনের ডাটা বিশ্লেষণের পর যথারীতি ভৌত মডেলও তৈরি হলো!ডাবল হেলিক্স মডেলের ক্যালকুলেশন ব্যতীত ডিএনএ সূত্রকের সহাবস্থান নিয়ে ফ্রাংকলিনের কিছু অনুমান হেলিক্স স্ট্রাকচারের সমর্থনে কাজে দেয়। যেমন,প্রথমত ডিএনএ সূত্রকদ্বয়ে নিউক্লিওটাইডগুলোর সজ্জাক্রম এমন যে সূত্র দুইটি একে অন্যের পরিপূরক ( আধুনিক পরিভাষায় ‘ডিএনএ রেপ্লিকেশন’ এর পূর্বশর্ত ধরা হয় এটিকে )দ্বিতীয়ত নিউক্লিওটাইডের সজ্জাক্রমে অনির্দিষ্টতা যা প্রজাতিভেদে ডিএনএ বৈচিত্র‍্যতাকেই নির্দেশ করে।

🇨🇭 তবে এ সিদ্ধান্তসমূহের কোনোটিকেই ম্যাথমেটিকাল বা কেমিক্যাল মডেলে উপস্থাপন করবার জন্য পর্যাপ্ত সময় তখন ছিল না কারণ ততোদিনে ওয়াটসন ক্রিকের ডাবল হেলিক্স মডেল পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। ওয়াটসন ক্রিকের প্রস্তাবিত এই মডেল প্রদর্শনে ফ্রাংকলিন উইল্কিনসনকে পরে আমন্ত্রণও জানানো হয়। এর প্রতি সমর্থনও জানান ফ্রাংকলিন। তবে ফ্রাংকলিনের ডাটার উপর ভিত্তি করে ওয়াটসন ক্রিকের প্রস্তাবিত যেই মডেলের জন্য তাদের নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয় , ফ্রাংকলিনের নাম তখনও থেকে যায় উপেক্ষিত।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

হোমিও চিকিৎসায় স্থায়ীভাবে রোগ নির্মূল সম্ভব ?,ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!